রংপুরে ঘুষের মামলায় দুই প্রকৌশলী কারাগারে

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১ 517 views
শেয়ার করুন

 

রংপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় কাজের ঘুষ দাবি ও সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও কাজ না দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দুই প্রকৌশলীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.শাহেনূর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন, এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান কাওছার আলম।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, রংপুর এর (এলজিইডি) আওতায় ৪ কোটি ২৬ লাখ ও ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে দুটি প্যাকেজে মোট ৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহবান করা হয়। বিধি মোতাবেক ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ও ওই বছরের ৪ মার্চ দরপত্র জমা দেন নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ারপাড়ার মৃত আশরাফ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ঠিকাদার রবিউল আলম বুলবুল।

কিন্তু দরপত্র দু’টি গ্রহণ ও অনুমোদন করার পরেও নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) না দিয়ে রবিউল আলম বুলবুলের কাছে মোট কাজের (৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা) দুই শতাংশ হারে ঘুষ দাবি করেন উল্লেখিত দুই প্রকৌশলী। এ অবস্থায় ঠিকাদার রবিউল আলম বুলবুল দুই শতাংশ টাকা না দেয়ায় তাকে নিষ্কৃয় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং সর্বনিন্ম দরদাতা হয়েও তাকে কাজ না দিয়ে অন্য একজনকে কাজ দেয়া হয়।

 

এ ঘটনায় রবিউল আলম বুুলবুল বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে (দুদক) এলজিইডি রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান কাওছার আলমকে আসামি করে ২০১৯ সালের ৭ মে মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে দুদুকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে দুই আসামি উচ্চ আদালতে থেকে চার সপ্তাহের জামিন পান।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জামিনের মেয়াদ শেষ হলে রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান তারা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুদুকের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম হারুন-উর রশীদ জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে সর্বনিন্ম দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অন্য একজনকে কাজ দেয়ায় সরকার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রন্ত হয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই দুই প্রকৌশলীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত দুইজনের মধ্যে আখতার হোসেন পরবর্তীতে বদলি হয়ে ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে যান এবং অপরজন রংপুরে কর্মরত আছেন।