শান্তিগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁওয়ে বিএনপির কর্মী সভা

প্রকাশিত: ১০:২০ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৫ 438 views
শেয়ার করুন

শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষে কর্মী সভা করেছে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি। শনিবার বিকাল ৩টায় বীরগাঁও বাজার সংলগ্ন মাঠে এই কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জালাল উদ্দিন।

একই কমিটির প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক রওশন খান সাগর ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম নাঈমের যৌথ পরিচালনায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রিয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনছার উদ্দিন বলেন, যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামীলীগ করেছে, আওয়ামীলীগের সব সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদেরকে কোনোভাবেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। যেহেতু তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা নিজেরাই নিজেদের কমিটি গঠনে ভোট ও মতামত প্রদান করবেন সেহেতু দালালরা কমিটিতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। যদি এমন কেউ কমিটিতে আসে তাহলে সাথে সাথে আমাদের জানাবেন, আমরা তাকে ফিল্টার করে দেবো। ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের কোনো অধিকার ছিলো না। আওয়ামীলীগ ভোটের অধিকার হরণ করে বাংলাদেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণিত করেছিলো। তখনও শান্তিগঞ্জের কিছু সাহসী নেতাকর্মী পাঁচজন-ছয়জন করে মিছিল মিটিং করেছিলো। আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছিলো। বিনিময়ে তারা জেল-জুলুম ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছিলো। কারাবরণ করেছিলো। আজ সময় এসেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করার। আগামীতে বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে ও জাতীয়তাবাদের রাজনীতির সোনার ফসল ঘরে তুলতে প্রতিটি ইউনিটে ইউনিটে কমিটি গঠন করা হবে। এইসব কমিটিতে প্রকৃত ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে। ৫ আগস্টের পরে যারা নেতা হয়েছেন তারা কেউ কমিটিতে আসতে পারবেন না।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এ দেশ থেকে পালিয়ে যান নি। হাসিনার সাথে আপোষও করেননি। তিনি দেশে থেকেছেন। কারাবরণ করেছেন। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারেক রহমানও নির্যাতিত হয়েছেন। আরাফাত রহমান খোকোর লাশ দেখতে দেয়নি জালিম হাসিনা। স্বৈরাচার হাসিনার সময় সব থেকে নির্যাতিত পরিবার ছিলো জিয়া পরিবার। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জেল খেটেছেন, কারা বরণ করেছেন। মামলা খেয়ে দিনের পর দিন বাইরে রাত কাটিয়েছেন। আগামী কমিটিতে তাদেরকে মূল্যায়ণ করা হবে। বিএনপিতে ছিলেন না এমন কাউকে কমিটিতে রাখা হবে না।

কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এটিএম হেলাল, সদস্য মুজাহিদ উদ্দিন, সিলেট মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সিহাব খান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন।


অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা তোফায়েল আহমদ, মনোয়ার হোসেন মিন্টু, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জুনু মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সায়েখুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা আবদুস সালাম, উপজেলা যুবদল নেতা সাইরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ওবায়দুল করিম মাসুম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ হারুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কিমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাবুল, সদস্য মহির উদ্দিন, নূরুল ইসলাম, মোশাহিদ আলী, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শিপাউর রহমান, সাব্বির আহমদ, মহিবুর রহমান মবু, মইনুল ইসলাম, শওকত নূর, মাহবুব খান, সইদুর রহমান, দোলেন আহমদ, ফমরুল হোসেন, আবদুল হান্নান, হরমুজ আলী, গোলাম ইজদানী, ধন মিয়া, কুতুব উদ্দিন, রওশন আলী, আছমাউর রহমান, নজরুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান ও রাহুজ্জামান রাজু প্রমুখ।