আমেরিকায় প্রবাসিদের ডাক্তার ফেরদৌস!

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২০ 471 views
শেয়ার করুন

আমেরিকায় প্রবাসিদের ডাক্তার ফেরদৌস! যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছে বিপুলসংখ্যক কাগজপত্রহীন অভিবাসী। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন। করোনা মহামারির এই সময়টাতেও এসব কাগজপত্রহীন মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রণোদনা নেই। ফলে বিরাটসংখ্যক মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। এবার নগদ অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা নিয়ে সেই সব অভিবাসীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

এমনিতেই হাজারো বিপদ ও ঝুঁকি মাথায় নিয়েই করোনা মহামারির এই দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন খ্যাতিমান চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার ও তাঁর দল। কেবল নিউইয়র্ক নয়, একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তারা। কমিউনিটির মধ্যে পরম আস্থা এবং ভালোবাসার জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছে বিপুলসংখ্যক কাগজপত্রহীন অভিবাসী। তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন। করোনা মহামারির এই সময়টাতেও এসব কাগজপত্রহীন মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রণোদনা নেই। ফলে বিরাটসংখ্যক মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। এবার নগদ অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা নিয়ে সেই সব অভিবাসীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

এমনিতেই হাজারো বিপদ ও ঝুঁকি মাথায় নিয়েই করোনা মহামারির এই দুর্যোগকালীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন খ্যাতিমান চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার ও তাঁর দল। কেবল নিউইয়র্ক নয়, একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তারা। কমিউনিটির মধ্যে পরম আস্থা এবং ভালোবাসার জায়গা তৈরি করতে পেরেছেন তারা।

জ্যাকসন হাইটসের নিজস্ব অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। সেই রুম থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নানা ধরনের সেবামূলক কাজ চলছে। একটি ফোন নম্বর সবার জন্য দেওয়া হয়েছে। সহায়তা চেয়ে অনেকে সেই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করছেন। অনেকে এসে খাবার নিয়ে গেলেও, বিরাট সংখ্যক মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে হচ্ছে। একদিকে করোনা, অন্যদিকে কাগজপত্র না থাকায় এই সময়ে ভয়ে অনেকে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। আর তাদের খাবার ও অর্থ সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সেই সঙ্গে ডা. ফেরদৌস খন্দকারের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম দিনা, তার দুই ছেলে আকিব খন্দকার ও নাকিব খন্দকার প্রত্যক্ষ সহায়তা করছেন। সেই সঙ্গে তার দলের সদস্য আবু ইউসুফ টিটু, আবদুল্লাহ আল মারুফ এবং জুয়েল নূর কাজ করে যাচ্ছেন। খাবার কিনে আনা, প্যাকেট করা থেকে শুরু করে পৌঁছে দেওয়ার মতো বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছে এখন।

ডা. ফেরদৌস খন্দকার জানিয়েছেন, প্রথমে ভাবা হয়েছিল দুই’শ জনকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। প্রত্যেকের জন্য থাকবে এক’শ ডলারের একটি গিফট কার্ড এবং এক মাসের প্রয়োজনীয় খাবার। গিফট কার্ডটি তারা যেকোনো জায়গায় খরচ করতে পারবে। কিন্তু মানুষের প্রয়োজন অনেক বেশি। বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে। এ জন্য আপাতত সহায়তা গ্রহণকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ, অর্থাৎ চার শ করা হয়েছে। আরও হয়তোবা বাড়াতে হবে।

মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যাদের কাগজপত্র নেই, তারা এখন বড় অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। একদিকে থাকার বৈধতা নেই; অন্যদিকে কাজ নেই। তাদের সহযোগিতা অনেক বেশি প্রয়োজন’। যার যার অবস্থান থেকে এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার।