আমিরাতে বাংলা সংস্কৃতির প্রসারে কাজ করছে শিল্পী সমিতিঃ রাষ্ট্রদূত

আমিনুল হক আমিনুল হক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৪ 566 views
শেয়ার করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি হিসেবে বাংলাদেশিদের নামডাক রয়েছে সবক্ষেত্রে।  একসময় হিন্দী গান দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি বুঝালেও বাংলা গান এখন আরবীসহ সকল মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠছে। একইসাথে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম জানছে বাংলা সংস্কৃতির কথা।
বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার ৪র্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার শারজাহের ইওয়ান হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি আমিরাতের সভাপতি জাবেদ আহমদ মাসুমের সভাপতিত্বে এবং মামুন রেজা ও সোনিয়া সামিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবু জাফর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে বাংলা গান। বাংলাদেশি শিল্পকর্মীরা প্রবাসে অন্য কাজের ফাঁকে এসব সংস্কৃতি তোলে ধরে দেশের সমৃদ্ধ ভাণ্ডারকে তুলে ধরছেন ভিনদেশিদের কাছে। আমিরাতে বাংলা সংস্কৃতির প্রসারে কাজ করছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি।
৯০ দশককে গানের সোনালী যুগ বলা হলেও বর্তমানে তুলনামূলক ভাবে ভাল কাজ কম হচ্ছে। প্রবাসিরাও দেশের সংস্কৃতি লালন করেন বুকের মাঝে। দেশের সংস্কৃতি অংগনের মানুষ পেলে মেতে ওঠেন আনন্দে।একইভাবে প্রবাসিদের সাথে মেশতে ভাল লাগে জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ডলী সায়ন্তনী।
আমিরাতের নানা প্রদেশে শতাধিক শিল্পকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতি জানান দিতে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির চেষ্টা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি আমিরাতের সভাপতি জাবেদ আহমদ মাসুম।
এবারের অনুষ্ঠান উৎসর্গ করা হয় সদ্য প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানকে। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলা সংস্কৃতির এই জাগরণ ধরে রাখতে কমিউনিটিকেও একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন সকল সাধারণ প্রবাসিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল শাহেদুল ইসলাম, সিআইপি আবু জাফর চৌধুরী, সিআইপি মাহাবুব আলম মানিক, ইয়াসমিন কালাম মেরুনা প্রমুখ। আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বাংলাদেশি প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত প্রবাসী সাংবাদিক, বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।