বিয়ানীবাজার ওসমানী স্টেডিয়ামের মেলার আয়োজন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৪ 89 views
শেয়ার করুন

বিয়ানীবাজার পৌরশহরস্থ ওসমানী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য মাসব্যাপী শিল্প ও পণ্য মেলার আয়োজন বন্ধে মাননীয় হাইকোর্ট নির্দেশে প্রদান করেছেন। বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক মেলার কার্যক্রমের উপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন এবং কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

 

গত বুধবার বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সচিব ও রিট পিটিশনের বাদী মো: আব্দুল আজিজ আদালতের আদেশের সার্টিফায়েড কপিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে এ সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেছেন।

 

জানা যায়, বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের রিট পিটিশনে বাণিজ্য সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ ও লাল সবুজ ডটকমের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেটমো: কামরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

 

সূত্র জানায়, প্রায় ১০মাস পূর্বে বিয়ানীবাজার তথ্য আপা প্রকল্পের সুপারিশক্রমে লাল সবুজ ডটকম নামীয় একটি প্রতিষ্টান সরকারি ওসমানী স্টেডিয়ামে মেলা আয়োজনের প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় জনৈক এক ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেলার অনুমতিপত্র বিক্রি করে দেয়া হয়। ঐ ব্যক্তি বিয়ানীবাজার খেলার মাঠে মেলা আয়োজনের কার্যক্রম শুরু করেন। এভাবে নামসর্বস্ব লাল-সবুজ ডটকম নামক প্রতিষ্ঠানটি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। বিয়ানীবাজার ওসমানী স্টেডিয়ামের খেলার মাঠকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে প্রশাসনের কর্তাদের বখরার বিনিময়ে ম্যানেজ করে অনুপতি নিয়ে তা বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা করে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মাসের পর মাস মাঠে খেলাধুলা বন্ধ করে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে অনুমতি প্রদানকারী প্রশাসনের কর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে মেলাবাজ ঐ মহলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অনুমতি গুলো দিয়ে থাকেন।

 

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।