সিরাজগঞ্জে পিসিআর ল্যাবে “এইট ক্যাপ টিউব” সংকটে করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে

ইউনুস আলী শাওন ইউনুস আলী শাওন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০ 395 views
শেয়ার করুন

সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে ব্যবহৃত এইট ক্যাপ টিউব (টিপস) না থাকায় ল্যাবরেটরিটিতে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরি সূত্রে জানা যায়, উদ্বোধনের পর গত ২৩ মে করোনা পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ১১২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পিসিআর যন্ত্রটিতে নমুনা ওঠানোর পরপরই আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি হঠাৎ অকার্যকর হয়ে পড়ায় সংগ্রহিত নমুনাগুলো সিভিল সার্জনকে ফেরত দেওয়া হয়। পরে সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সহায়তায় পিসিআর যন্ত্রটি চালু করা হয়। সেই থেকে প্রতিদিন ৯৪টি করে নমুনা পরীক্ষা অব্যাহত থাকলেও বর্তমানে ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত এইট ক্যাপ টিউব (টিপস) শেষ হয়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে একদিন এবং চলতি সপ্তাহে বুধবার পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। তবে বৃহস্পতিবার টিপস সংগ্রহের মাধ্যমে আবার পরীক্ষা কার্যক্রম সচল করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫১২টি সংগৃহীত নমূনা ল্যাবরেটরিতে জমা রয়েছে।

এবিষয়ে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম জানান, করোনা পরীক্ষায় ব্যবহৃত এইট ক্যাপ টিউব (টিপস) হঠাৎ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি আবার ঢাকা থেকে সংগ্রহ করে আনতে হয়েছে। এ কারণে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। সংগৃহীত নমুনা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্যে দুটি শিফটে নমুনা পরীক্ষার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে সেটি বাস্তবায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি জানান, যে পর্যন্ত ২ শিফট শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না সে পর্যন্ত ঢাকা অথবা দেশের যে কোন ল্যাবরেটরি হতে জমে থাকা নমুনাগুলো পরীক্ষা করাতে হবে । এ ছাড়া ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা কিটেরও অভাব রয়েছে যা সরকারিভাবে বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন জাহিদুল ইসলাম বলেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে প্রয়োজনে দেশের অন্য ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন। আমাদের এই নমুনা পরীক্ষার বিষয়টিতে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেই।