সাভারে ব্যতিক্রমী ১ মিনিটের ঈদ বাজার

তপু ঘোষাল তপু ঘোষাল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৪ 51 views
শেয়ার করুন

ঢাকা জেলার সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকায় জমে উঠেছে তিনদিনব্যাপী ‘১ মিনিটের ঈদ বাজার’। এই বাজারে ভিড় করেছে হাজারো ক্রেতা। তবে তারা কেউ সাধারণ ক্রেতা নয়। এরা সবাই প্রতিবন্ধী, নয় তো অসহায়। সবাই এই বাজার থেকে বিনামূল্যে ঈদসামগ্রী কিনতে পেরে ঈদের আগেই যেন হাতে পেলো ঈদের নতুন চাঁদ।

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সাজানো হয়েছে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকায়। ‘উৎসব হোক সবার জন্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর ও ওয়াসিল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘১ মিনিটের ঈদ বাজার’ নামে এই ঈদ কেনাকাটার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মাত্র ১ মিনিটেই এলাকার অসহায় দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা মনের খুশিতে ঈদের বাজার করছে।

সবার মাঝে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে সোমবার (৮ এপ্রিল) এই ১ মিনিটে ঈদ বাজার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম সমর। পরে প্রায় দেড় হাজার শিশু, বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধীসহ অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপলক্ষে পোশাক ও বাজার উপহার দেওয়া হয়েছে।

রোজা নামের ৬ বছরের এক শিশু একটি লাল ফ্রক হাতে পেয়ে খুশিতে তার মাকে জড়িয়ে ধরে। তার সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, গত ঈদে মাকে বলেছিলাম আমাকে একটা লাল ফ্রক কিনে দিতে কিন্তু মা দেয়নি। আজকে চেয়ারম্যান আংকেল আমাকে লাল ফ্রক দিয়েছেন তাই আমি অনেক খুশি।

এই ১ মিনিটের ঈদ বাজারে কেনাকাটা করতে এসে সুমন ইসলাম নামে এক প্রতিবন্ধী যুবক আপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘এখান থেকে শার্ট, জুতা এবং পরিবারের জন্য ঈদের বাজার নিয়েছি। এই শার্ট পরেই ঈদের দিন নামাজে যাব।’

সুমাইয়া নামে এক তরুণীকে দেখা গেছে দূর থেকে অপলক দৃষ্টিতে একটি শাড়ির দিকে তাকিতে থাকতে। পরে সেই শাড়িটিই সে পেয়েছে চেয়ারম্যানের হাত থেকে। সুমাইয়া ঢাকা মেইলকে জানায় আমি পাশের ইউনিয়ন আমিন বাজার থেকে এসেছি। আমার জন্য এবং আমার মেয়ের জন্য এখান থেকে শাড়ি ও জামা নিয়েছি। পাশাপাশি চেয়ারম্যান ঈদের বাজার হিসেবে আমাদের মুরগী, পোলাওয়ের চাল, সেমাই ও চিনি দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর বলেন, আমি সবসময়ই অসহায় মানুষকে মন থেকে ভালোবাসি। তাদের ভালোবাসার জোরেই আজকের আমার এই অবস্থান। তাই আমি প্রতি বছরই আমার এবং আমাদের ওয়াসিল উদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই আয়োজন করে থাকি। আগামীতে যেনো আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করতে পারি সেই প্রত্যাশা সকলের কাছে৷