নিজের গীবত, নিজেদের গীবত

ক খ ম রুদকী খান ক খ ম রুদকী খান

অনলাইন এক্টিভিস্ট, ফ্রান্স

প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০ 599 views
শেয়ার করুন

বাংলাদেশী বলেন আর বাঙালি বলেন : এই জাতিকে অনেকেই আবেগপ্রবণ জাতি বলে। কেন বলে ? এটা আমার বোধগম্য নয়। এরা পৃথিবীতে নিষ্টুর জাতিদের মধ্যে একটি তার প্রমাণ অনেক রয়েছে। এই জাতি শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিতদের তুলনায় কোন অংশে কম না ।
এই জাতি পৃথিবীর যেখানে যাক না কেন আমার মতে এরা এদের জাতিগত, বংশগত , অভ্যাসগত ও ব্যক্তিগত বদঅভ্যাস গুলো পরিবর্তন করতে পারে না। এ জাতি সর্বদা একে অন্যের দোষগুলো বা গীবত বলতে পছন্দ করে । এই ধরেন, এই মুহুর্তে আমি নিজেও নিজ জাতির খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে লিখছি। এটাও এক ধরনের গীবতই।

যাই হোক সরাসরি কথা প্রসঙ্গে আসা যাক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার বলছে করোনায় মৃত ব্যক্তি ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে না, তাই প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী মৃত ব্যাক্তির অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে । আমরা কতটাই নির্লজ্জ নিজের বাবা মা  (অন্যদের কথা বাদই দিলাম) এই রোগে আক্রান্ত হলে দেখাশুনা তো করিই না বরং মৃত্যুর পর লাশটাও দেখতেও যাইনা ও নিতেও যাই না – বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এর ব্যতিক্রম ।

এই ধরেন, মসজিদের – ইমামেরা বলে থাকেন – বাবা মায়ের সেবা করুন, বাবা মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত ইত্যাদি। কিন্তু করোনার এই মহামারিতে মসজিদের ইমামেরা মৃত ব্যক্তিরজানাজা তো করছেই না এমনকি লাশ বহনের খাটিয়া পর্যন্ত তালা দিয়ে রেখেছে । এইসব ধান্দাবাজ ইমামগুলো পালিয়ে থাকে কর্তব্য পালন তো বাদ ই দিলাম, খাটিয়াটা দিয়েও সহযোগীতা করেনা । হিন্দু পুরোহিতদের অবস্থাও প্রায়একই রকম। হায়রে বাঙালি ও বাংলাদেশী।

 

কোরোনার মত ভয়াবহ মহামারিতে ত্রানের সেলফি তোলা, ফটো সেশন করা, ধান কাটার নামে কৃষকের খাবারের সর্বনাশ করা ও সেই সঙ্গে ত্রান চুরির হিড়িক, সত্য প্রকাশ করায় মুক্তমনা লেখক সাংবাদিক আর সমাজকর্মীরা মামলা হামরার শিকার, ধর্ষন ইত্যাদি যতসব নিকৃষ্ট কাজের দৌরাত্ব সবখানে।
আমি এর বেশি আর গিবত করতে পারলাম না- যাই হোক এই লেখাটির ভুল ভ্রান্তি না ধরে আসুন সচেতন হই, নিজেকে বদলাই।

ক খ ম রুদকী খান : অনলাইন এক্টিভিস্ট ও সমাজকর্মী। প্যারিস, ফ্রান্স।