এমিরেটস এয়ারলাইন ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০ 405 views
শেয়ার করুন
করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউন আরোপে মার্চের শেষ দিক থেকে বিমান চলাচলে ব্যাপক ভাটা পড়েছে। একে আয় তলানিতে ঠেকেছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় এমিরেটস এয়ারলাইন। বিশাল আকৃতির ২৭০টি উড়োজাহাজে করে বিশ্বজুড়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি।
 
করোনাভাইরাসের মহামারিতে যাত্রী চলা চলা কমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে কর্মী ছাঁটাই করছে বিমান সেবাদানকারী প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান এমিরেটস এয়ারলাইন। দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি এর মধ্যে এক-দশমাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। সংখ্যাটা ১৫ শতাংশ বা ৯ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।
 
এ ব্যাপারে বিবিসিকে দেওয়া এমিরেটস এয়ারলাইনসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্কের সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
 
করোনা সংকটের আগে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫৭টি শহরে ফ্লাইট পরিচালনা করত এমিরেটস। বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৫৮টি শহরে। এই অচলাবস্থা থাকবে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
 
এর আগে এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক জানিয়েছিলেন, বিমান চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে চার বছর সময় লেগে যেতে পারে। ফলে কর্মী ছাঁটাই করতে হচ্ছে।
 
এমিরেটস এয়ারলাইনের বার্ষিক হিসেব মতে, করোনা সংকটের আগে ৪ হাজার ৩০০ পাইলট ও প্রায় ২২ হাজার কেভিন ক্রুসহ তাদের মোট কর্মীর সংখ্যা ছিল ৬০ হাজারের মতো।
 
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লার্ক বলেন, “এরই মধ্যে মোট কর্মীর দশ ভাগ ছাঁটাই করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও কিছু বাড়তে পারে, সম্ভবত ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।”
 
কোম্পানিটির এক মুখপাত্রও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের এই পরিকল্পনার কথা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন।
 
এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) জানিয়েছে, করোনা সংকটের কারণে এয়ারলাইনগুলোর সম্মিলিত নিট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
 
অবশ্য এমিরেটসের আর্থিক ক্ষতি অন্যান্য বিমান চলাচল কোম্পানি থেকে তুলনামূলক কম হবে বলে জানিয়েছেন ক্লার্ক। মার্চে বার্ষিক হিসেব অনুযায়ী এমিরেটস এয়ারলাইনের লভ্যাংশ বেড়েছিল ২১ শতাংশ।