বাবা মারা যাওয়ার প্রায় সাড়ে ১৫ বছর হলো আমার বয়স তখন ১৯ এর মত আমরা ৪ ভাই ২ বোনকে রেখে হঠাৎ ২০০৫ সালের ৩ মার্চে বড়লেখা পৌরসভার কমিশনার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় আমার বাবা ইন্তেকাল ফরমাইন।
সেই থেকে এতিম নামের তালিকায় অবতরণ করি এবং পরিবারের সকল দায়িত্ব কাঁদে নিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটে চলি।
আমাদের সবার ছোট ভাই নয়নের বয়স তখন প্রায় ৫ বছর নিস্পাপ শিশু নাবালক থাকে ঘিরে ছিলো আমাদের সংসার।
আমার কর্ম জীবনে হাজারও ছুটে চলার একটাই লক্ষ্য ছিলো পরিবার, আত্মীয় স্বজন,প্রতিবেশী সহ এলাকার সবাইকে নিয়ে।
বাপ দাদার রেখে যাওয়া সায় সম্পাতি মোটামুটি ভালো ছিল বা আছে,কিন্তু কঠিন সময়ও আমার বিন্দু পরিমাণও সেই দিকের প্রতি বিনষ্ট করার কোন লক্ষ্য আজওবদি নেই।
রক্ত এবং আত্মীয় স্বজনদের ভালোবায় সিক্ত ছিলাম আমি কখনো ৪ আনা ৬ আনা ১২ আনা সমুদ্রের ঢেউয়ে তীরে উঠলে সুযোগে ১৬ আনা!
সময়ের ব্যবধানে সবার ছোট ভাইটি সহ আজ সবাই ইউরোপে।
তবে আমার ভাই বোনদের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাস আমার পরিবর্তে আমার বাচ্চাদের বেলায় আমার পিতা এবং আমার সুশিক্ষকায় পুরো নিঃস্বার্থে ১৬ আনা ইনশাআল্লাহ।
সর্বপরি পারিবারিক সংসারিক জীবনে সুখ-দুঃখে সব চেয়ে বেশি কাছে পেয়েছি নিজের খুবি কাছের লোক, কিছু বন্ধুদের যা আমার জীবনে স্মরণিয় হয়ে থাকবে এবং এ রিন কখনো শেষ করা যাবে না,আমি আজও তাদেরকে স্মরণ করছি।
শুধু বাবাকে ভালবাসলে হবে না সাথে মা,ভাই,বোন,ছেলে,মেয়ে,চাচা,ভাতিজা সহ সবাইকে ভালোবাসতে হবে,ভালোবাসুন,ভালোবাসতে শিখুন।
বাবার জীবন স্বার্থক হবে, যাদের বাবা নেই উনার আত্মা শান্তি পাবে
বাবার রক্তের বন্ধন যতদূর গেছে সকলের সাথে সুসম্পর্ক রাখুন সুখে দুঃখে পাশে থাকুন।
আমি তো বাবা নামক শব্দ টুকুকে আব্বা নামে ডাকি
আব্বাকে যেন মহান আল্লাহ তালা জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন আমীন।