সৌদিতে লকডাউনে আটকে পড়া প্রবাসীদের জন্য বিমানের বিশেষ ফ্লাইট

প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২০ 598 views
শেয়ার করুন

করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরবে লকডাউনের পূর্বে যেসব প্রবাসী এক্সিট-রিএন্ট্রি অথবা এক্সিট ভিসা নিয়ে দেশটিতে গেছেন এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারণে সৌদি থেকে যারা বের হতে পারেননি, তাদের জন্য চালু হচ্ছে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৌদি আরব পশ্চিম অঞ্চলের রিজিওনাল ম্যানেজার নাজমুল হুদা।

তিনি জানান সৌদিতে কর্মরত প্রবাসীদের ভ্রমণ ভিসায নিয়ে আসা পরিবার ও ওমরাহ ভিসায় এসে যারা ফেরত যেতে পারেননি এবং দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত যেসব ছাত্র/ছাত্রী নিজ খরচে দেশে ফেরত যেতে চান, ওইসব ভিসাধারীদের বাংলাদেশে ফেরত নেয়ার লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

প্রথমে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে এসব যাত্রীরা দেশে ফেরত যেতে পারবেন। যার প্রথমটি আগামি ১৬ বা ১৭ জুন জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ছেড়ে যাবার কথা রয়েছে। আরেকটি ছেড়ে যাবে রিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে। তবে এখনও তারিখ নির্দিষ্ট হয়নি বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, বিমান দুটি যেহেতু বাংলাদেশ থেকে খালি আসবে, সেহেতু বিমানের ভাড়া একটু বেশি হবে। ওয়ান ওয়ে’র প্রতিটা ইকোনমিক ক্লাস আসনের মূল্য হবে ৩ হাজার ৩০ সৌদি রিয়াল (যা বাংলাদেশ টাকায় প্রায় ৬৬ হাজার ৬শত ৬৬ টাকা)। পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুযায়ী আরও ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রিজিওনাল ম্যানেজার নাজমুল হুদা জানান, তবে দেশে ফেরত যাবার সুবিধা গ্রহণকারী প্রত্যেককে স্থানীয় কনস্যুলেট অথবা দূতাবাসে যোগাযোগ করে নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং সেই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে একটি নাম্বার আসবে, যে নাম্বার অনুযায়ী সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে বিমানের জেদ্দা অফিস আল নাকিল সেন্টার থেকে।

তিনি আরও জানান, যে সমস্ত প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নির্ধারিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে (০৫৫৬২২১৮৫৮) যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ফটোকপি এবং ভিসা ফটোকপি জমা দিতে হবে। পরে দূতাবাস এবং কনস্যুলেট তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের অফিসে তা পাঠানোর পর সেখান থেকে টিকেট সংগ্রহ করে আগ্রহীরা বাংলাদেশে ফেরত যেতে পারবেন।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওইসব যাত্রীদেরকে বিমানে চড়তে হবে। অসুস্থতা, জ্বর-সর্দি-কাশি অথবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউই ফ্লাই করতে পারবেনা বলেও জানিয়েছেন মি. নাজমুল হুদা।

এ ব্যাপারে রিয়াদ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. আবুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিশেষ ফ্লাইটের আবেদন করা হয়েছে। তবে দিনক্ষণ সম্পর্কে এখনো তারা নিশ্চিত নন। এ ব্যাপারে তাদের কাছে বাংলাদেশ থেকে কোন কাগজপত্র ও নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা আসলে তা তারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন।

এদিকে, রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দা কনস্যুলেটের নামে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছু কিছু ট্রাভেল এজেন্সি বিভ্রান্ত ছড়ানোর জন্য এসব ব্যানার ও ফেস্টুন করে ফেসবুকে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে দূতাবাস কিছুই জানে না। এছাড়াও কোন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এসব টিকেট বিক্রি করা হবে না বলেও পরিষ্কার করে জানিয়েছেন।