নিজের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মা ও ছেলে। এরা হলেন ফরিদা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)। সকাল সাড়ে আটটায় কাজের বুয়া এসে ঘরের ভেতরে এই দুইজনের বিভৎস লাশ দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকায় এসপি বাংলোর সামনের বাসায় এই ঘটনাটি ঘটে। উক্ত ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করতে সিলেট থেকে পিবিআই এসে কাজ শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ওসি নাজমুল হক। একইসঙ্গে পুলিশও কাজ করছে।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, চার বছর আগে ফরিদা বেগমের স্বামী জাহেদুল ইসলাম মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছেলের কাছে বিয়ে দেবার পর সে ওখানেই থাকছে। বাসায় থাকতেন ফরিদা বেগম ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)। সম্প্রতি খালাতো বোন নার্গিস বেগম ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে ফাহমিদও এই বাসাতেই থাকতো। তিনদিন আগে ঢাকা থেকে এই বাসায় আসে নার্গিস বেগমের ছেলে ফয়সল আহমদ (৩০)। সে মাদকাশক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
ঘটনার পর ফয়সল ও ফাহমিদ এই দুইজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফয়সলকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়েছেন স্বজনরা। নার্গিস বেগমকে অসুস্থ্য অর্থাৎ অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদা বেগমের বোন একই মহল্লার বাসিন্দা সুফিয়া আক্তার বললেন, রাত দশটার পরেও বোন ফরিদা বেগমের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি ফোনের চার্জারের প্রয়োজন জানিয়ে ফোন দিয়েছিলেন। ওইসময় বাসায় মিনহাজুলও ছিল। সকালে আত্মীয়-স্বজনরা অসুস্থতার খবর জানান। তিনি দেখতে এসে এই অবস্থা দেখেন। নার্গিস বেগমের ছেলে দুজনকেই পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কেউ তার সঙ্গে হাসপাতালে আসে নি। এজন্য তিনি এসেছেন। নার্গিস বেগম এখন কিছুই বলতে পারছেন না।
সদর থানার ওসি নাজমুল হক জানান, সকালে খবর পেয়েই তারাও বাসায় এসেছেন। বাসায় ফয়সল ও ফাহমিদ নামের নিহতদের দুইজন আত্মীয় ছিল। ওদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফয়সল মাদকাশক্ত ছিল। তারা নিভিরভাবে ঘটনা তদন্ত করছি। পিবিআই’এর একটি দলও আসছে। তারাও তদন্ত করবেন।