আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন
জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি
সাংবাদিক, আবুধাবী
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দুতাবাস আবুধাবীর উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করা হয়েছে। দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত মোহাম্মদ আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও শ্রম সচিব লুৎফুর নাহার নাজিম এর পরিচালনায় এরপর আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আবুধাবির সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার, সহ সভাপতি শওকত আকবর বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল ও কলেজ আবুধাবির অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসান,বিমানের আঞ্চলিক পরিচালক এন সি বড়ুয়া,আবুধাবি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবদুল হাই,আশীষ বড়ুয়া,আমিরাত যুবলীগের সভাপতি রফিকুল হক,প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু এর সভাপতি এস এম রফিকুল ইসলাম,শামসুল কবীর প্রমূখ।
সভায় রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধুর হৃদয় থেকে উৎসারিত কালজয়ী অনবদ্য কাব্য যা শুধু বাংলার মানুষের নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী নির্যাতিত জনতার কাছে ন্যায়সংগত স্বাধিকার আন্দোলনের চিরন্তন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এবং বাঙালীকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন বলেই তার পক্ষে এরুপ অনবদ্য ভাষণ প্রদান সম্ভব হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন, তাঁর যোগ্য কন্যা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। তাঁর সুযোগ্য নের্তৃত্বে প্রথম ধাপের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশের মযার্দা অর্জন করেছে। এখন দ্বিতীয় ধাপ তথা দেশকে উন্নত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রদূত আহবান জানান। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে হলে প্রত্যেক প্রবাসীকে উন্নত আচরণে অভ্যস্ত হতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, অনুষ্ঠানে দিবসটির স্মারক প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশিত হয় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


