জাতীয় সংসদে এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উত্তাপিত বক্তব্য

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১ 393 views
শেয়ার করুন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ১১ তম বৈঠকে উপস্থিত মাননীয় সভাপতি, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমপি এবং মাননীয় সদস্যবৃন্দ ও উপস্থিত সম্মানিত সূধীবৃন্দ-
আসসালামু আলাইকুম

মহান জাতীয় সংসদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের পক্ষ আমাকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি-

শুরতেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ যেমন হতো না, তেমনি আমরাও ‘প্রবাসী বাংলাদেশি’ হতে পারতাম না। সে সঙ্গে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, ১৫ আগষ্টের বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা এবং প্রবাসে মৃত্যুবরণকারী সকল বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের। আমরা দেশে ও বিদেশে যে সকল বাংলাদেশি করোনা মহামারীতে মারা গেছেন তাদের আতœার মাগফেরাত কামনা করছি। সাথে সাথে যারা অসুস্থ তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

মাননীয় সভাপতি, মাননীয় সদস্যবৃন্দ এবং উপস্থিত সূধীবৃন্দ,
আপনারা অবগত আছেন যে, বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর সারাবিশ্বের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এনআরবি সিআইপি নির্বাচিত করে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এই মর্যাদাপ্রাপ্ত প্রবাসী সিআইপিদের সংগঠন এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশন, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবারের কল্যাণে দেশে ও বিদেশে কর্মক্ষেত্রসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

মূল প্রসঙ্গ উপস্থাপনের আগে আমরা প্রায় এক কোটি ত্রিশ লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশির পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং প্রবাসীদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনার প্রতি- যার বলিষ্ট নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আমলে গত ১২ বছরে প্রবাসীদের কল্যাণে যুগান্তরী অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা রেমিট্যান্সেযােদ্ধাদের লড়াই করা শক্তি যুগিয়েছে, অনুপ্রাণিত করেছে। এই সরকার আমলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সপ্রদানকারী প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সিআইপি মর্যাদায় সম্মানিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- যা আমাদের দারুণভাবে উতসাহ যুগিয়েছে। এ পর্যন্ত সারাবিশ্বের ১৫০ প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে এনআরবি-সিআরপির মর্যাদা দ্ওেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আমরা করোনাকালে সারাবিশ্বের অসহায় প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তাসহ নানা সহায়তা দিয়ে পাশে থাকার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় প্রবাসী ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী. মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোনর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

মাননীয় সভাপতি,
এখন আমরা প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাম্প্রতিক নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত সরকারের সদয় পুনবিবেচনা এবং প্রবাসীদের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট কিছু সুপারিশ তুলে ধরছি।

১. বন্ডের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা ১ (এক) কোটি টাকা নির্ধারণের সরকারী সিদ্ধান্ত এবং বন্ডে বিনিয়োগকারী ঘজই-গনের সিআইপি হিসেবে নির্বাচন বাতিল প্রসঙ্গে:
আপনি অবগত আছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ওয়েজ আর্নাস ডেভেলপমের্ন্ট বন্ড, ইউ.এস.ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউ.ইস.ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা ১ (এক) কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা নির্ধারণ করেছেন। যার ফলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বন্ড বিধির আলোকে ১৯৮১ সাল হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরে বন্ডে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার) বিনিয়োগ করেছেন। একথা সত্য যে, প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় হতে বাংলাদেশে নিশ্চিত বিনিয়োগ মনে করে বন্ড ক্রয় করেন এবং প্রবাসীরা বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে না বিধায় তাঁরা বন্ডকে অধিকতর সুরক্ষিত বিনিয়োগ মনে করে থাকেন। সরকারী বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন বাধা নিষেধ না থাকায়, প্রবাসীরা বৈধপথে নিজ নিজ প্রবাসে উচ্চ হারে কর প্রদানের মাধ্যমেই এই অর্থ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আসছেন। প্রবাসীরাও তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আন্তরিকতার সাথে দেশে বিনিয়োগ করে থাকেন।

এই অবস্থায় সরকারের উপরে উল্লেখিত সিদ্ধান্তের ফলে ১ কোটি টাকার উর্দ্ধে বিনিয়োগকৃত অর্থ বিদেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আশংখা দেখা দিতে পারে , যা বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভের জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ হতে পারে, কেননা বন্ডে বিনিয়োগকৃত মূল অর্থ যে কোন সময় বিদেশে প্রত্যাবর্তনযোগ্য হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রবাসীরা যেমনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্ হবেন তেমনি তাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হ্ওয়ায় দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। এতে দেশে বৈদেশিক আয়ের প্রধান উৎস রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় প্রেরণে এবং অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

আমরা আরো মনে করি, এভাবে বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা নির্ধারিত করে তা যদি বাধাপ্রাপ্ত করা হয় তবে দেশে অবৈধপথে অর্থ প্রেরনের প্রবনতা বৃদ্ধি পাবে যা আমাদের বৈদেশিক মূদ্রা আয় এবং বৈদেশিক রিজার্ভের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখা দেবে, বৈদেশিক বিনিয়োগের হার কমার পাশাপাশি বৈদেশিক রিজার্ভও কমে যাবে।

তাই আমরা এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশন, সমগ্র প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বন্ডের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা ১ (এক) কোটি টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা পুর্বক, তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিবেচনা করতে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। একইসাথে বন্ডে বিনিয়োগকারী এনআরবিগনের সিআইপি হিসেবে নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা পুর্বক, তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিবেচনা করতে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

২. বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃক প্রবাসীর মরদেহ বিনামূল্যে বহন প্রসঙ্গে:
আমাদের জাতীয় পতাকাবাহক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে আনতে বিনামূল্যে বহনের ক্ষেত্রে করোনাকালে আগেই স্থগিত ঘোষণা করেছে এবং যা এখনো কার্যকর রয়েছে । অথচ দীর্ঘদিন চালু থাকা বিনামূল্যে মরদেহ বহনের এ ব্যবস্থাটি কম আয়ের অসহায় প্রবাসীদের জন্য বড় সহায়ক শক্তি ছিল। এর মাধ্যমে যেমন রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থার সুনাম অনেক তুঙ্গে উঠেছিল তেমনি সরকারের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ ছিলেন তারা । বর্তমান সুযোগটি তুলে নেওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কম আয়ের প্রবাসী ভাই-বোনদের অনেক মরদেহ জমা পড়ে আছে যেগুলো আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দেশে মরদেহের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে তাদের পরিবার। পত্রিকা, গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসা প্রবাসের মর্গে দিনের পর দিন বাংলাদেশিদের মরদেহ পড়ে থাকার অমানবিক কাহিনী দেখে অসহায়ত্ব আর হতাশা ঘিরে ধরে সর্বস্থরের প্রবাসীদের। মানবিক বিবেচনায় আমাদের এসোসিয়েশনের পাশাপাশি বিত্তবান এরকম প্রবাসীরা কিছু মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আমাদের পক্ষে সকল মরদেহ দেশে পাঠানো কখনোই সম্ভব না। এই বাস্তবতায় আমরা মানবিক বিবেচনায় আগেরমত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে প্রবাসীর মরদেহ বিনামূল্যে বহন করার সুবিধা পুনঃপ্রবর্তনের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সবিনয় আবেদন রাখছি। আমরা মনে করি এতে করে অসহায় ও দুস্থ প্রবাসীরা সকল উৎকন্ঠা ঝেড়ে

মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা পাবে পাশাপাশি সরকার ও জাতীয় পতাকা বাহক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুনাম ও ভাবমূর্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে।

৩. লেবাননে অবৈধ হয়ে যাওয়া প্রবাসীদের দেশে ফেরার বিশেষ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে:
লেবাননে আনুমানিক দেড় লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কাগজপত্রবিহীন (অবৈধ) রয়েছেন। দেশটি প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান অর্থনৈতিক মন্দা, ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার সীমাহীন দরপতন এবং সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে পড়ে বর্তমানে বৈধ বাংলাদেশিরা যখানে দুঃসহ সময় পার করছেন সেখানে অবৈধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশিদের অবস্থা আরও করুণ। দেশে পরিবারের জন্য টাকা পাঠানো তো দূরের কথা প্রবাসে নিজেদের পেট চালানোই দায় হয়েছে পড়ে এসব অসহায় বাংলাদেশিদের। লেবাননে সরকারের দেওয়া সাধারণ ক্ষমার সুযোগে বাংলাদেশ দূতাবাসের বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় গত ২৫-২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে কাগজপত্রবিহীন (অবৈধ) বাংলাদেশিদের নাম নিবন্ধন চললেও ৪ দিনে মাত্র ৪ হাজার বাংলাদেশি বিমান টিকেটের ৪ শত ডলারের বিনিময়ে নাম নিবন্ধন করতে সক্ষম হন। নিবন্ধনকৃতদের অনেকেই জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে দেনা করে কিংবা ফসলী জমি বিক্রি করে টিকিটের টাকার বিনিময়ে নাম নিবন্ধন করেছেন। ধারনা করা হয়েছিল আনুমানিক ২০ হাজার অবৈধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি নাম নিবন্ধন করবেন। কিন্তু বিমান টিকেটের ৪ শত ডলার হাতে না থাকায় বা সংগ্রহ করতে না পারায় তারা নাম নিবন্ধন করতে পারেন নি। এব্যাপারে দেশে যেতে ইচ্ছুক লেবাননের ভুক্তভোগী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই বাস্তবতায়, মানবিক বিবেচনায় লেবাননে সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিবন্ধিত কাগজপত্রবিহীন বা অবৈধ হয়ে যাওয়া প্রবাসীদের বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটে স্বল্পমূল্যে দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত আবেদন রাখছি। আমরা মনে করি, এমন মহতী উদ্যোগে এসব অসহায় ও অভাবী প্রবাসী যেমন নতুন জীবন পাবেন তেমনি প্রবাসীদের মাঝে সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

৪. ঈওচ (ঘজই)- ২০১৮ প্রঙ্গাপণ অনুযায়ী ঘজই ঈওচ অংংড়পরধঃরড়হ-এর সভাপতিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত করা প্রসঙ্গে:
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (অনিবাসী বাংলাদেশী) প্রঙ্গাপন -২০১৮ এর ১৩(৩) এ বলা আছে, ঈওচ (ঘজই) সরকার কর্তৃক নিয়োজিত সংশিষ্ট বিষয়ক নীতি নির্ধারনী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হইবার ক্ষেত্রে যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারিবেন। এ ছাড়্ওা এ পর্যন্ত ঈওচ (ঘজই) সংশ্লিষ্ট যতগুলো গেজেট প্রকাশিত হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে ঈওচ (ঘজই)-দের সরকার কর্তৃক নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতি নির্ধারনী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হইবার ক্ষেত্রে যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারিবেন উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলেও এ পর্যন্ত কখনোই কোন ঈওচ (ঘজই)-কে রাখা হয়ানি। যেহেতু, ঘজই ঈওচ অংংড়পরধঃরড়হ প্রবাসীদের শীর্ষ সংগঠন, প্রবাসীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে, সুতরাং এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংগঠনের মাননীয় সভাপতিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নীতি নির্ধারনী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রবাসীদেরকে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সহযোগী হিসেবে মহান জাতীয় সংসদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্্রণালয়ে প্রবাসীদের প্রতিনিধি রাখার জন্য বিনিত অনুরোধ জানাচ্ছি।

৫. জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, সুশৃংখল অভিবাসন নিশ্চিত এবং প্রবাসী কল্যাণ ও সেবা উন্নয়নে শ্রমবাজার নির্ভর দেশগুলোতে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন/মিশন এবং প্রবাসী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আবেদন রাখছি। কমিটির সুপারিশগুলো প্রাধান্য দেওয়ার মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করলে জনশক্তি রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অভিবাসনে শৃংখলা বজায় থাকবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। সে সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ, কনস্যুলেট সেবার মান ও পরিধিও অনেক বাড়বে নিঃসন্দেহে।

পরিশেষে, এইসব বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে রেমিট্যান্সযোদ্ধা প্রবাসীদের সকল হতাশা দূর করার লক্ষ্যে সদয় উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

মাননীয় সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।

বাংলাদেশ চিরজীবি হোক। আল্লাহ হাফেজ।

নিবেদনে,

মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান
সভাপতি
এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশন