স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে কেনা-বেচা করতে হবে-তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২০ 903 views
শেয়ার করুন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি এখনও অনেক ভালো। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল সরকারী ব্যবস্থাপনায় চালু করা হবে। এতে ২০টি আইসিইউ ইউনিট, ৬০টি আইসোলেশন বেডসহ ১০০টি বেড স্থাপন করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে যাতে প্রতিদিন অন্তত ৫শ করোনা রোগির নমুনা টেস্ট করা হয় সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।

আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
লকডাউন শীতিল করার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেখানে ইতালি, স্পেন, সিঙ্গাপুর সহ পৃথিবীর অনেক দেশে এখনও প্রতিদিন আড়াইশ তিনশ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে সেখানেও লকডাউন শীতিল করা হয়েছে। কারণ জীবন রক্ষার জন্য জীবিকাও রক্ষা করতে হবে। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করেই এ কাজগুলো করতে হবে। সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দোকানপাট সীমিত আকারে ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে কেনা-বেচা করতে হবে। প্রতিটি শপিংমল, বিপনীবিতানের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি ডিজইনফেকশন চেম্বার বসাতে হবে বলে জানান তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষকে নানাভাবেই সহায়তার আওতায় এনেছেন। পৃথিবীর অনেক দেশই বৈশ্বিক এ দূর্যোগ মুহুর্তে তা করতে পারেনি। করোনা পরিস্থিতির আজকে দু’মাস হতে চললেও বাংলাদেশে একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। শুধুমাত্র সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে তা কিন্ত নয়। সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, বিত্তশালী ব্যক্তিসহ অনেকেই মানুষের সাহার্য্যে এগিয়ে এসেছেন। এটিই আমাদের সংস্কৃতি এবং সেই সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় সবাই এগিয়ে এসেছেন। এ দূর্যেোগ মুহুর্তে অসহায়দের পাশে থাকতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান।