পদ্মার ভাঙ্গন ও করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত চরাঞ্চলের জনজীবন

প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০ 339 views
শেয়ার করুন
মহামারী করোনা ভাইরাস ও পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে চরম বিপর্যস্ত রাজশাহীর পবা উপজেলার চরাঞ্চলের জনজীবন। বর্তমানে পদ্মার তীর ঘেঁষা ৩০ গ্রামের প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। বাড়িঘর হারিয়ে পথেই রাত কাটাচ্ছেন অনেকে।
 
ভারত সীমান্তবর্তী পবা, বাঘা ও গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী বাসিন্দারা প্রতিবছরই হুমকির মুখে পড়েন। বাড়িঘর মেরামত করে বসবাস করলেও পরবর্তীতে পুনরায় ভাঙ্গনের কবলে পড়তে হয় তাদের। এবার দিয়ে তৃতীয়বার নদীগর্ভে বিলীন হলো পবার চর খিদিরপুর এলাকার ফজলু-মদিনা দম্পতির বাড়ি। তারা জানান, প্রতিবছর এভাবে বাড়িঘর মেরামত করতে অর্ধলক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। যেটি করতে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে চরম সঙ্কট বয়ে যায়।
 
স্থানীয়রা জানান, চরাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ গৃহপালিত পশুর ওপর নির্ভরশীল। পদ্মার ভাঙ্গনে গরু-ছাগল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। এছাড়াও করোনার প্রভাবে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় আগের মতো বেচাকেনাও নেই। এদিকে ফসল ফলাতে না পারায় চরম দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন চরাঞ্চলের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
 
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চরাঞ্চলে নদী ভাঙ্গন ও করোনার প্রভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বাল্যবিয়ে। এছাড়া ছোটখাটো বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। করোনায় তেমন সংক্রমিত না হলেও অন্যান্য রোগের কোনো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না চরাঞ্চলবাসী। স্বাস্থ্য কেন্দ্র না থাকায় নদী পেরিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন তারা। কঠিন এ সময়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
 
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আমিনুল হক জানান, সকল উপজেলায় সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।