আবুধাবী এয়ারপোর্টে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ৫০ জন
বিমানে দেশে গেছেন ৭৭ জন
আমিরাতের রাজধানী আবুধাবী এয়ারপোর্টে গত শনিবার বাংলাদেশ থেকে আসা দুইটি ফ্লাইটে আসা ১৩২ জন যাত্রী ICA সমস্যায় আটকে ছিলেন। তাদের মধ্যে কিছু যাত্রীদের রবিবার সকালে স্থানীয় স্পন্সর এসে নিয়ে গেছেন। বাকী ১২৭ জনকে “API বা এডভান্সড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন” সম্পর্কিত জটিলতার সমস্যায় এয়ারপোর্ট হোটেলে রাখা হয়েছিল।
বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবীর রাষ্ট্রদূত আবু জাফর আটকে থাকা প্রবাসীদের বের করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। আটকেপড়া যাত্রীদের সমস্ত জটিলতা নিরসন করে অবমুক্ত করতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। সেই সাথে বাংলাদেশের ঢাকাস্থ আমিরাত দূতাবাসের কর্মকর্তাদেরকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আটকেপড়া যাত্রীদের অবমুক্ত করতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ত্রিমুখী সমন্বয় এবং প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি।
সব চেষ্টাই বিফলে গেল দূতাবাসের মানে বাংলাদেশে রিটার্ণ পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত আসে। গতকাল রাতে বাংলাদেশ বিমানে আসা ৭৭ জন BG-228 ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন। এয়ার অ্যারাবিয়ার আসা ৫০ জনের দশাও সমান। তাদেরকেও ফেরত যেতে হবে কিন্তু কখন ফিরত যাবেন সিদ্ধান্ত আসেনি। API বা এডভান্সড প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সম্পর্কিত জটিলতার কারণে আবুধাবিতে ঢোকার সুযোগ পেলেন না ১২৭ জন বাংলাদেশী বিমানযাত্রী।
এক যাত্রীর আইডি ও পাসপোর্ট চেক করে দেখা যায়, দেশে ৬ মাসের উপরে অবস্থান করেছিলেন আর আমিরাতের নির্দেশনা মতে অনলাইনে https://uaeentry.ica.gov.ae গিয়ে চেক না করেই এসেছেন। অনলাইনে চেক করে দেখা যায়, উনাকে আমিরাতে আসার জন্য এপ্রোভ দেওয়া হয়নি।
জানা যায়, শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মোট ২২৫ জন যাত্রী আবুধাবী অবতরণ করেন। অবতরণের পরপরই তিন ধাপে মোট ১৪৮ জন বিমান যাত্রীকে ইমিগ্রেশনের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৭৭ জন যাত্রী আটকে ছিলেন। বিমানের আবুধাবি ও আল আইনের রিজিওনাল ম্যানেজার এন সি বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য ICA সমস্যায় বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের ও যাত্রীরা আটকা পড়েছেন।
এ সম্পর্কিত আরো খবর