কুয়েতে কূটনেতিক প্রচেষ্টা বাড়ানো প্রয়োজন

সাদেক রিপন সাদেক রিপন

কুয়েত প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০ 893 views
শেয়ার করুন

কঠোর পদক্ষেপের ফলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আসার পর ধাপে ধাপে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। দেশটিতে সর্বশেষ লকডাউনে থাকা ফরওয়ানিয়া অঞ্চল ২৬ জুলাই ভোর ৫টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। এই ধাপে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ৫০% এর কম জনশক্তি নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হবে। চলমান কারফিউয়ের সময় কমিয়ে করা হয়েছে প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৩টা পর্যন্ত।

তবে করোনার থাবায় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে সেই সংকট কাটিয়ে কুয়েতপ্রবাসী বাংলাদেশিরা এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। ছোট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালু করলেও বেচাবিক্রি কম হওয়াতে আয় অনুপাতে খরচের পরিমাণ বেশি। ক্ষতি পোষাতে আগের চেয়ে কম জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠান। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মচারিদের আগের বেতন দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে, নয়তো চাকরি খুঁজতে বলছে অন্য কোথাও।

নিরুপায় হয়ে অনেকেই কাজ করছেন, আবার অনেক প্রবাসী ভাবছেন আগস্ট থেকে ফ্লাইট চালু হলে দেশে ফিরে যাবেন। নিজের থাকা-খাওয়ার খরচ, দেশে থাকা পরিবারে খরচ, আবার গেল রজমানের ঈদ এবং আর মাত্র কয়েকদিন পর কুরবানির ঈদ সব কিছু মিলিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসীরা।

বর্তমান কুয়েতে মোট ৪.৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ৩.৪ মিলিয়ন বিভিন্ন দেশের অভিবাসী। অতিরিক্ত অভিবাসী সংখ্যা কমিয়ে আনতে কুয়েত সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা বেশিরভাগই বিভিন্ন কোম্পানিতে ক্লিনিং ও বাসাবাড়িতে কাজ করেন। কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা ও কাজের দক্ষতার সুনাম রয়েছে। কুয়েতের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে কুয়েত সরকারের সঙ্গে কূটনেতিক প্রচেষ্টা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন কুয়েতে কমিউনিটর নেতা ও বিশিষ্টজনেরা।