আজ সকালের প্রথম ডাকেই তোমার চিঠি খানা পেলাম,
বলতে পারো, দিনের শুরু তোমার ছোঁয়াতেই…
আচ্ছা এযুগে কেউ কি চিঠি লিখে..!
এখনতো ভাইবার,মেসেন্জার, হোয়াটস্ অ্যাপ্…
রাজ্যের আরো কতো কি..!
আর তুমি লিখলে চিঠি…!!
সেই পুরোনো দিনের মতো,
নীল খামে, সবুজ পাতায়..
গোটা গোটা অক্ষরে আবেগের লাল ফুল যেনো..!
পুরোনো দিনগুলোই ফিরে এলো আবার,
ঘড়ি কাটা’টা চলতে শুরু করলো
ঠিক যেখানে থেমেছিলো, সেখান থেকেই..!
আবার বাউন্ডুলে এই আমি সিগারেট হাতে,
তোমার জন্যই অপেক্ষায় রইলাম
মোড়ের ওই বইয়ের দোকানটার পাশে…
টাইম মেশিন আমাকে নিয়ে গেলো
কৈশোর পেরোনো একরোখা আমি’টার কাছে..।।
তুমি জানতে চাইলে,
‘কেমন ছিলেম এ’কয় দিন..’
‘পাগলী, তোকে ছাড়া কি ভালো থাকা যায়..
অহর্নিশ কি এক ছোবলে ক্ষত বিক্ষত,
বেদনায় মলিন..!’
তুমি জানতে চাইলে,
‘ভর দুপুরে এখনো কি দাপড়ে বেড়াই পাড়া-মহল্লা..
পোস্ট অফিসের পুসকুনিতে এখনো কি দেই
সাঁতারের রেস..
কিংবা ফুটবল খেলি ঈদগা’র ওই মাঠে..?’
না রে সোনা, ওই দিন গুলো হারিয়ে গেছে..!
ন’টা পাঁচ’টা অফিস করা বাবুটির সাথে
তুমি যেদিন চলে গেলে,
সানাই-কমিউনিটি সেন্টার থেকে যেদিন
রক্ত রঙা গোলাপে সাজানো সাদা গাড়িটা
ভুস্ করে বেড়িয়ে গেলো তোমাকে নিয়ে,
সেদিন থেকে আমি আর সিগারেট ফুকি না..
ডুবে যাওয়ার ভয়ে আর নামি না পুস্কুনিতে..
জীবনের গোল পোস্টটাই দূরে চলে গেছে,
তাই গোলের খেলা ফুটবলে আমি এখন বেমানান..।
তুমি শোনালে তোমার ভালো থাকার গল্প,
বাবলু-বাবলী কে নিয়ে তোমার সাজানো চাঁদের হাট..।
এমনই তো কথা ছিলো’রে মেয়ে..
সোনায় মোড়ানো জীবন হবে তোমার..!
শুধু আমিই আজ জানালার ফাঁক গলে, তারা গুনি
নিস্তব্ধ রাতে, সঙ্গি আমার নি:সঙ্গ খাট।
পুনশ্চ: তুমি ভালো থেকো, বরাবরের মতো…!