শান্তিগঞ্জ উপজেলাসহ সুনামগঞ্জ জেলায় একযোগে সম্পন্ন হয়েছে কিশোরকণ্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা। শান্তিগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৪র্থ-১০ম শ্রেণির মোট ১০১০ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় এ পরীক্ষা বাস্তবায়ন করতে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাঠক ফোরাম।
পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে প্রবেশের পর বাইরে জড়ো হোন হাজার অভিভাবক।
পরীক্ষা শুরু হলে প্রতিটি হল পরিদর্শন করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পাঠক ফোরামের উপদেষ্টা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাফিজ আবু খালেদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলার পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মমিন, এড. আসাদুজ্জামান আসাদসহ আরো অনেকর।
পরিদর্শন শেষে হাফিজ আবু খালেদ বলেন, দীর্ঘদিন আমরা এ পরীক্ষা ভালো করে আয়োজন করতে পারিনি। এবছর আমাদের চিন্তার বাইরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করেছেন৷ এজন্য পরীক্ষা শৃঙ্খলভাবে শুরু করতে কিছুটা বেগ পোহাতে হয়েছে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীতে এসম্পর্কে পাঠক ফোরাম সতর্ক থাকার পরামর্শ রইলো।
পাঠক ফোরামের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আফসর উদ্দিন ও ভাইস চেয়ারম্যান নূর নবী বলেন, আমরা আগামীতে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবো৷ ১ মাত্র কেন্দ্রে ১৯টি কক্ষে এ পরীক্ষা নিয়েছি। দু’মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হবে।
প্রসঙ্গত: সুনামগঞ্জে কিশোরকণ্ঠ মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ হাজার শিক্ষার্থী। ১২টি উপজেলায় মোট ১৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ট্যালেন্টপুল, সাধারণ ও বিশেষ বিভাগে সর্বমোট ৩শ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরষ্কৃত করবে ফোরাম। এছাড়াও পরীক্ষায় অংশগ্রহকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতি শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচন করবে সংগঠনটি। আগামী দু’মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল জানানো হবে।


