এনআরবি ব্যাংকের ৭ পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ:জবাব চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক : তদন্তে দুদক

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১ 595 views
শেয়ার করুন

 

গত ১৮ অক্টোবর এনআরবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালিন চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদসহ মোট ৭জন পরিচালকের প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি হতে এ ব্যাংককে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মো. লিয়াকত আলী। পরে গত ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের ব্যাংকের সহকারি পরিচালক মো. নোমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিটিতে এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে জবাব প্রেরণের পরামর্শ দেন।

এদিকে, মানিলন্ডারিং মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলছে অভিযোগের সত্যতা খোঁজার চেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছের অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য চেয়েছে দুদক। তাদের নামে দেশে-বিদেশে কোনো চলতি বা সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব, স্থায়ী আমানত, শেয়ার, লকারসহ অন্যান্য ব্যাংক হিসাব থাকলে বিবরণী চাওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে সে তথ্যও চেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রশিদ খান এবং তার দুই ছেলে নাফিহ রশিদ খান ও নাভিদ রশিদ খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। ওই অর্থে তারা বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ার কেনার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির নামে বিদেশে পাচার করেছেন।

অভিযোগ আছে, আমিনুর রশিদ খানের ছেলেদের যখন এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক করা হয় তখন তাদের একজনের বয়স ছিল ২৫ বছর। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ১৫ এর উপধারা ৬ (অ) অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক হতে হলে কমপক্ষে ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সেই ধারা তো লঙ্ঘন হয়েছেই, এমনকি নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাকে পরিচালক হিসেবে অনুমোদন না করলেও অবৈধভাবে তাকে পরিচালক পদে বহাল রাখা হয়।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমিনুর রশিদ খান সিঙ্গাপুরকেন্দ্রিক হুন্ডি ব্যবসায়ের অংশীদার এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক এম বদিউজ্জামান, তার স্ত্রী নাসরিন জামান ও মেয়ে তানিয়া জামান। এই চক্রের আরেক সহযোগী ইউরোপের হুন্ডি ব্যবসায়ী ইদ্রিস ফরায়জী। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ। এর মাধ্যমেই বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থপাচার করা হয় বলে অভিযোগ আছে।

আমিনুর রশিদ খান এবং তার দুই ছেলের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের দায়িত্বে আছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান চলছে। গোপনীয়তার স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাবে না।’