সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা

প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০ 757 views
শেয়ার করুন

সাংবাদিকতা একটি মহৎ সম্মান জনক। জনসেবামূলক পেশা, আয়নায় যেমন নিজের চেহারা প্রতিবিম্বিত হয়, তেমনি দেশ, জাতি, সমাজ এমনকি সমকালীন বিশ্বের চলমান ঘটনা, জীবনযাত্রা, চিন্তাচেতনা, জাতীয় স্বার্থ ও দিকনির্দেশনা সংবাদপত্রের পাতায় ছাপা হয়। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা জাতির জাগ্রত বিবেক এবং পাঠকরাই হচ্ছে সংবাদপত্রের প্রাণশক্তি। সামাজিক উন্নয়ন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, সত্য-সুন্দর এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সংবাদপত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। আর পেশার মানদণ্ডে সাংবাদিকতা একটি মহৎ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সম্মানজনক পেশা।

অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সম্মান রেখেই বলছি, এ পেশায় কিছু সাংবাদিক আছেন, যারা দুর্নীতির মতো দৈন্যতা ও নিন্দনীয় কাজ করেন, অথবা নৈতিকতার বাহিরে গিয়ে দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। এরা হলো সাংবাদিক নামের কলঙ্কিত ব্যক্তি। সাংবাদিকদের উচিৎ সত্য সংবাদ মানুষের কাছে তুলে ধরা, এটা সামাজিক মাধ্যম অথবা হউক পত্র পত্রিকা।

পেশাগত কারণে একজন সাংবাদিক সর্বত্র বিচরণ করতে পারেন। সৎ এবং বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকদের মানুষ সমাদর করে, সম্মান করে। সাংবাদিকদের লেখায় সমাজের লাভের পাশাপাশি ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করা মোটেও সমীচীন নয়। অর্থলোভী, স্বার্থান্বেষী,টাউট-বাটপারদের যথেষ্ট বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে এ মননশীল কর্মচর্চায়। ব্যাখ্যার স্থলে অপব্যাখ্যা ন্যায়কে অন্যায়ের রূপ দান, সত্যকে ঢাকার জন্যে অসত্যের আবরণ ফেলাকে মনে করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, সমাজে এদের সংখ্যা বেশি না হলেও, আজ যেন এদেরই জয়জয়কার।

অসুস্থ মানসিকতার গুটিকয়েক প্রভাবশালীর আশ্রয়- প্রশ্রয়ে এই অপসাংবাদিকতা ও সিন্ডিকেট সাংবাদিকতার দৌরাত্ম্য প্রতিনিয়ত যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত এদের কারণে সজ্জনরা হচ্ছেন উপেক্ষিত ও অপদস্থ। এর মূলোৎপাটনে সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড হলুদ সাংবাদিকদের রুখতে হবে। যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এরা লালিত, তাদের বিরুদ্ধেও কলম ধরতে হবে এ পেশার অস্তিত্ব ও সম্মান টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। কলঙ্কযুক্ত করতে হবে ঐতিহ্যের ধারক এ মহান পেশাকে।

দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে প্রত্যেকের। অপসাংবাদিকতার খোলস থেকে বেরিয়ে আত্মগঠনে নিয়োজিত হতে হবে সবাইকে। কলমি শক্তির মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কাউকে কটাক্ষ করা বা উপেক্ষা করার পরিবর্তে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। সমাজ ও জাতিকে ভালো কিছু দিতে হবে লেখনীর মাধ্যমে। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য পরিণত করার হীন মানসিকতা দূর করতে হবে অন্তর থেকে। লোভ লালসা থেকে বেরিয়ে এসে সত্য জয়ের মানসিকতায় এগিয়ে যেতে হবে। তবেই এ পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে,সম্মানিত হবে মহান পেশায় নিয়জিত কর্মীরা প্রতিটি স্তরে।