নীলফামারীতে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০ 685 views
শেয়ার করুন

করোনা পরিস্থিতে নীলফামারী থেকে অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লায় যাত্রী পরিবহনে মানা হচ্ছে না কোন সরকারী দির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি। শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা হলেও আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুন বাসভাড়া। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের নানা ভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। এতে বাস মালিক ও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। একরকম বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যঝুকি নিয়েই অতিরিক্ত ভাড়ায় যেতে হচ্ছে গন্তব্যে। পরিবহন সেক্টরে এ অরাজকতা বিরাজ করলেও দেখা বা নিয়ন্ত্রণে নেই কর্তৃপক্ষ।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সবধরণের যানবহন। লকডাউন তুলে দেয়ার পর শতকরা ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি করে চালু করা হয় গণ পরিবহন। সে ক্ষেত্রে সরকার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সামাজিক দুরুত্ব বজায়ে পাশের সিট খালি রাখা, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখাসহ জারি করে কিছু নির্দেশনা।
সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি ওই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেছে না পরিবহন সংস্থাগুলো। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দুরপাল্লার হানিফ, নাবিল, এনা, খালেক, শ্যামলি, ডিপজলসহ প্রায় প্রতিটি পরিবহন সংস্থা প্রতি সিটে যাত্রী পরিবহন করছে। ভাড়াও আদায় করছে আগের চেয়েও দ্বিগুনেরও বেশি । এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রায় বাকবিতন্ডা হচ্ছে পরিবহন সংস্থার স্থানীয় এজেন্ট ও শ্রমিকদের সাথে।

আলামিন নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমি জলঢাকা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে  হানিফ পরিবহনের কাউন্টার থেকে একটি টিকিট ক্রয় করি। আমার কাছ থেকে টিকিটের মূল্যবাবদ ১৭’শ টাকা দাবি করে কাউন্টার কর্মচারি। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয় আপত্তি জানালে কাউন্টার থেকে বলা হয় ডাবল সিট নিয়ে যাত্রা করার কারনে টিকিটের অতিরিক্ত মূল্য নেয়া হয়েছে। কিন্তু যাত্রার দিন আমার নির্ধারিত আসনে গিয়ে দেখতে পাই আমার পাশে অন্য এক জন যাত্রী বসে আছে। তার কাছেও একই ভাড়ায় ওই আসনের টিকিট দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও জেলার সৈয়দপুর টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া আঞ্চলিক ৮ টি রুটের অবস্থা আরও করুণ। সিট বাদেও পুরো বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা।
নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ খান শানু অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলায় পরিববহন ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।