৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধংস জেলেদের ত্রাণ সামগ্রী প্রদান   

নুর উদ্দিন সুমন নুর উদ্দিন সুমন

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২০ 481 views
শেয়ার করুন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে, হবিগঞ্জে ‘জাল দাও, ত্রাণ নাও’ নামে নতুন কর্মসূচী চালু করেছে জেলা প্রশাসন। এ কর্মসূচীর মাধ্যমে হাওরাঞ্চলের অবৈধ জাল আটক করে জেলেদের ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। স্বেচ্ছায় অবৈধ জাল স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জমা দিতেও জেলেদের আহ্বান করা হচ্ছে। যারা জাল দেবে তাদেরকে মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময় পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।  শুক্রবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বানিয়াচং উপজেলার বিথঙ্গল ও মুরাদপুর এলাকার বিভিন্ন হাওরে অবৈধ জাল উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। অভিযানে ২৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয়। জাল আটকের পর জেলেদের সরকারী ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাদা খসরু, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী।
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নির্দেশে প্রতিদিন বিভিন্ন হাওরে অভিযান পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ও  জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। প্রতিদিন আটক করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে হাজার হাজার মিটার অবৈধ জাল। এতে রক্ষা পেয়েছে অসংখ্য চারা মাছ। এর ফলে জেলায় এবার মাছের বাম্পার উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা।  অবৈধ কারেন্ট জাল ও কাথা জাল ব্যবহার করে মৎস্য আহরণের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে গতকাল ও আজকে সর্বমোট ৩৮ হাজার ৫শ’ মিটার কাঁথা জাল ও ৭৯ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা হবে বলে জানায় মৎস বিভাগ। এর আগে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নির্দেশ ও নেতৃত্বে গতকাল বিকেলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা হাওরে অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অভিযানে অবৈধ কাঁথা জাল দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে ৫ হাজার মিটার কাঁথা জাল (বেড়) জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, মাত্র কয়েক মাস পোনা মাছ ধরা বন্ধ রাখলে হবিগঞ্জের হাওরগুলো মাছে ভরে উঠবে। তখন জেলেরাও বেশী বেশী মাছ সংগ্রহ করে স্বাবলম্বি হতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। একারণে ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা যতদিন মাছ ধরা বন্ধ রাখবেন ততদিন সরকারী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। আমরা এজন্য ‘জাল দাও, ত্রাণ নাও’ কর্মসূচী চালু করেছি। এরপরও যারা অবৈধ জাল ব্যবহার করে মাছ ধ্বংস করবে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।