লিবিয়ায় হবিগঞ্জের যুবককে হত্যার দায়ে ফরিদপুরের যুবক গ্রেফতার

নুর উদ্দিন সুমন নুর উদ্দিন সুমন

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০ 437 views
শেয়ার করুন
হবিগঞ্জের যুবককে লিবিয়ায় হত্যার দায়ে আন্তজার্তিক মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মানবপাচারকারী মোশারফ হোসেন (৪২)ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার পুরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
 
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) দুপুরে হবিগঞ্জ সিআইডি পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহ মাহমুদ জানান, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী মোতালেব হোসেনের পুত্র তানিম মাহমুদ তোফাজ্জল (২২) গত বছরের ২৬ মে ভ্রমন ভিসায় দুবাই যায়।
 
সেখানে যাবার কিছুদিন পর তোফাজ্জলকে ইতালি পাঠানোর নামে আন্তজার্তিক মানবপাচারকারী দলের সদস্যরা তাকে প্রলোভন দেয়। এক পর্যায়ে দাদা নামের এক দালালের কাছে বানিয়াচং উপজেলার কুমরী গ্রামের আব্দুল হালিমের পূত্র শামীম ভিকটিম তোফাজ্জল ছাড়াও দুবাই প্রবাসী মোঃ সজীব ও মোঃ ডালিমকে তুলে দেয়। পরে লিবিয়া সীমান্তে উল্লেখিত ৩ দুবাই প্রবাসীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ হিসাবে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাবী করে মানবপাচারকারীরা।
 
জিম্মি অবস্থায় মানবপাচারকারীরা বানিয়াচংয়ের তোফাজ্জলকে দিয়ে মোবাইল ফোনে বাড়িতে তার স্বজনদের কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবী করে। তোফাজ্জলের স্বজনরা এ তথ্য জানতে পেরে উদ্বেগ- উৎকন্ঠায় পড়েন। এক পর্যায়ে তোফাজ্জলের ভাই কাওসার আলী বাদি হয়ে গত ৭ জুন বানিয়াচং থানায় আব্দুল্লাহ (৪২), পিতা, গ্রাম ও থানা অজ্ঞাত রংপুর, জনৈক দাদা (৪৫) সিলেট, মোঃ শামীম (৩৫), পিতা আব্দুল হালিম, গ্রাম দূর্গাপুর, বানিয়াচংকে আসামী করে মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
 
মামলাটি উল্লেখিত সময়ে থানায় মামলাটি রের্কডভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে সিআইডির ইনপেক্টর মুন্সী আব্দুল কুদ্দুস প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হবিগঞ্জের সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার শাহ মাহমুদ ও ইনপেক্টর মুন্সী আব্দুল কুদ্দুসসহ একদল সিআইডি পুলিশ গত ২৫ জুন মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম সহযোগী মোশারফ হোসেনকে ফরিদপুরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
 
প্রেসব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা ইনপেক্টর মুন্সী আব্দুল কুদ্দুস জানান, এ ঘটনার সাথে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেন মুক্তিপনের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনি অচিরেই অন্যন্যা আসামীদের গ্রেফতারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।