জারি করা আদেশে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলের মৃত্যুজনিত কারণে চেয়ারম্যানের আসন শূণ্য হয়। ১৬ এপ্রিল বিশেষ সভা করে ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রুজেল আহমদকে এই দায়ীত্বভার অর্পণ করা হয়। পরে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৩, ১০১, এবং ১০২ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেন জেলা প্রশাসক।

নতুন দায়ীত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান রুজেল আহমদ বলেন, রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল চাচা আমার একজন অভিভাবক ছিলেন। তিনি ইউনিয়নের অত্যন্ত স্বজ্জন লোক। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ইউনিয়নের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। চেয়ারম্যান সাহেবের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। যেহেতু চেয়ারম্যান পদটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই গত ১৬ এপ্রিল পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হিসেবে আমাকে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। গত রবিবার আমি চিঠি হাতে পেয়েছি। যতদিন আমার কাছে দায়ীত্ব থাকবে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়ীত্ব পালন করার। ইউনিয়নবাসী ও পরিষদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি। রুজেল আহমদকে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়ীত্ব হস্তান্তরের একটি চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অশেষ তালুকার।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক রুজেল আহমদকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দায়ীত্ব পালনে তার আর কোনো বাঁধা নেই।
উল্লেখ্য, ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান পরিচালনা করে ৩০ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলকে গ্রেফতার করেছিলো শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর ৪ এপ্রিল কারাগারে অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কারাপুলিশের হেফাজতে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। মঙ্গলবাওে (৮ এপ্রিল) রক্তক্ষরণজণিত কারণে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করেছিলেন ওসমানীর চিকিৎসকরা। এর একদিন পর ৯ এপ্রিল বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন চেয়ারম্যান রাইজুল ইসলাম।