লকডাউনের মধ্যেও সিলেটের বালাগঞ্জে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের তাগিদ

ইমন শাহ ইমন শাহ

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২০ 878 views
শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে ঘরের বাইরে না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন অবস্থায়ও সিলেটের বালাগঞ্জের গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া অব্যাহত রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ইতোমধ্যে বিল প্রদানের জন্য গ্রাহকদেরকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। বিল প্রদান না করলে দেওয়া হচ্ছে সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি। এতে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। বালাগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য অস্থায়ী বুথ স্থাপনও করা হয়েছে।

এবিষয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন বালাগঞ্জ এলাকার পরিচালক মো. মেন্দি মিয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের জন্য ২৬ মে তার ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে বলা হয়েছে মাদরাসা বাজার অভিযোগ কেন্দ্রে শনিবার-সোমবার, আজিজপুর বাজারে বুধবার, বোয়ালজুড় বাজারে রবিবার, কালিগঞ্জ বাজারে সোমবার, জালালপুর বাজারে মঙ্গলবার, খেয়াঘাট বাজারে বুধবার, ওসমানীগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার ও সিরাজবেগ বাজারে মঙ্গলবার গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা সংগ্রহ করা হবে। ২৭ মে থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বালাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের ক্যাশ কাউন্টারে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হবে।

তবে গ্রাহকদের জন্য আশার বাণী হলো ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত যেসব বিল প্রদানের তারিখ উল্লেখ রয়েছে সেই বিলগুলো ৩১ মে’র মধ্যে বিলম্ব মাশুল ব্যতীত পরিশোধ করা যাবে। এদিকে এলাকা পরিচালকের ওই পোস্টে সংযোগ বিচ্ছিন্নের কথা উল্লেখ না থাকলেও বিলের কাগজ প্রদানের সময় মিটার রিডাররা কড়াভাবে হুুঁশিয়ারী দিয়ে বলছেন যথা সময়ে বিল প্রদান না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এতে লকডাউনে ঘরবন্দী থাকা গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছেন। নি¤œ-মধ্যবিত্ত, হত দরিদ্র ও কর্মহীন একাধিক গ্রাহক বলেন এমন পরিস্থিতিতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না। বিল মওকুফের বিষয়ে তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে কয়েকজন জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন করোনাকালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ির মালিকরা মানবিক বিবেচনায় ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনায় ব্যাংক ও এনজিওর কিস্তি বন্ধ রয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম বিদ্যুৎ বিল আদায় বন্ধ থাকবে বা হয়তো মওকুফ করেও দেয়া হতে পারে কিন্তু এখন দেখছি বিল প্রদানের জন্য জোর তাগিদ দেয়া হচ্ছে।