অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লালপুরে প্রতিবাদ সভা

প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ 70 views
শেয়ার করুন
শান্তিগঞ্জ উপজেলা দরগাপাশায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করায় প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় দরগাপাশা ইউনিয়নের লালপুর গ্রামে ছহিল মিয়া চৌধুরীর বাড়িতে এ সভা করেন গ্রামবাসী। 
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- মৌগাঁও গ্রামের প্রবীন মুরব্বি ফয়জুর রহমান, দরগাপাশা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য কুটি মিয়া চৌধুরী, প্রাক্তন ইউপি সদস্য ছহিল মিয়া চৌধুরী, আবদাল মিয়া চৌধুরী, শেখ আবদুস সোবহান, জুয়েল মিয়া ও বিজয় বৈদ্য।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমাদের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেন আমাদেরই গ্রামের আতাউর মাস্টার, শাহীন মিয়া ও মোশাহিদ মিয়া গংরা। তারা নিউজে উল্লেখ করেন, আতালিব মিয়ার চাষকৃত জমিতে পানি প্রবেশে বাঁধা দেওয়া, জমির ধান গরু, ছাগল, ভেড়া দিয়ে খাওয়ানো,  আমাদের লোক দিয়ে তাদের জমির কাঁচা ধান কেটে আনা হয়েছে। এতে তাদের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে এমন গর্হিত কাজের সাথে আমাদের পক্ষের কোনো লোকজন কোনোভাবেই জড়িত নয়। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছেন। বরঞ্চ, তাদের লোক চুরিদারিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত থাকে। এসব কাজে আমরা সমর্থন দেই না এবং অসামাজিক কাজে বাঁধা প্রধান করার কারণে তারা আমাদের বিরুদ্ধে এমন অপবাদ রটাচ্ছে। আমরা এমন অপপ্রচারের বিরোধীতা ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংবাদে যেসব জমিতে পানি আটকে দেওয়া ও গরু ছাগলে খেয়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছিলো সেসব জমিতে নূন্যতম ৪ ইঞ্চি পানি আছে এবং জমির ধান অক্ষত আছে। কোনো গরু-ছাগলে খাওয়ার চিহ্ন পাওয়া যায় নি। দু’পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থাকায় উভয় পক্ষেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইউপি সদস্য কুটি মিয়া বলেন, ছহিল মিয়া চৌধুরীসহ আরো যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ফেসবুক ও সংবাদ মাধ্যমের সংবাদে যা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেসব তথ্য মিথ্যা। মোশাহিদ মিয়া, শাহীন মিয়াসহ যে পক্ষ আছে তারা বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে চুরিদারির একাধিক মামলা আছে। প্রশাসন যেনো সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার করেন সেই দাবি করছি।
মাস্টার আতাউর রহমান ও মোশাহিদ মিয়া বলেন, আমরা কোনো অসামাজিক কাজে জড়িত নই। মূলত তারাই অসামাজিক কাজ করে। আমরা বাঁধা দেই বলে আমাদের সাথে লাগতে আসে৷ আমাদের সাথে তারা যা যা করেছে আমরা তাই নিউজে বলেছি৷ মিথ্যা কিছু বলিনি। যে জমি নিয়ে সমস্যা তারা আপনাদের (সাংবাদিকদের) দেখায়নি। আরেক জমি দেখিয়েছে।
এ বিষয় শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি মুক্তাদির হোসেন বলেন, আমি তদন্ত করছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।