এছাড়া এক সময় জাতীয় পার্টির দুর্ঘ খ্যাত এই আসনটি পূণরুদ্ধারে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন। ক্লিন ইমেইজের রাজনীতিবিদ সেলিম উদ্দিনের ডাকে ঐক্যবদ্ধ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারন ভোটারদের উলেখযোগ্য একটি অংশ লাঙ্গলের পক্ষে সক্রিয় কাজ করছে। ফলে আওয়ামী লীগের মনোনীত ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর বিভাজনের সুযোগে এই আসনে এবার জাতীয় পার্টি বাজিমাত করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
এদিকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে এই আসনের নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি এই আসনে বিকল্প ধারা থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে জোটের হিসাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদকে সমর্থন দিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। এবার নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদি, যদিও ভোটের মাঠে তার নিজের কিংবা তৃণমূল বিএনপির উলেখযোগ্য কোন অবস্থান এখনো নেই। তবে দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে গোলাপগঞ্জ উপজেলার একক প্রার্থী হিসেবে তিনি এবার নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন, পক্ষান্তরে ভোট যুদ্ধে অনেকটা সমান্তরাল অবস্থানে থাকা উপরোক্ত ৩ প্রার্থী বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা। এমতাবস্থায় ভৌগলিক সুবিধা নিয়ে শেষ পর্যন্ত যদি আঞ্চলিকতার টানে গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসী দলমতের উর্ধ্বে উঠে শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে নীরবে অবস্থান নেয়, তবে নির্বাচনী খেলায় চমক জাগানো বিজয় অর্জন করতে পারেন সাবেক এই কুটনৈতিক।
উলেখ্য, এই আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তন্মধ্যে উপরোক্ত ৪ প্রার্থী ছাড়া অপর দুই প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান। এই আসনে মোট ভোটার ৪,৭০,৫১৯ জন। তন্মধ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলায় ২০৩১৫৫ জন এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ২৬৭৩৬৪ জন।