এবার এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের আপিল

তপু ঘোষাল তপু ঘোষাল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ 160 views
শেয়ার করুন

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) দ্বৈত নাগরিক এবং হালকনামায় জ্ঞাত সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে এবার আপিল করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। এর আগে দ্বৈত নাগরিকের অভিযোগ তুলে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) দ্বৈত নাগরিকের অভিযোগ তুলে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে এবার আপিল করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদ।

শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক-এমন একটি অভিযোগ তুলে শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন এ কে আজাদ। এ কে আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদন জমা দেন।

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক নির্বাচন কমিশনে দ্বৈত নাগরিক এনে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিলে আপিল করেন। আবেদনে এ কে আজাদের হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকের তথ্য গোপন, সম্পদবিবরণী ও নির্ভরশীলদের বিষয়ে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হক বলেন, ‘আমার আইনজীবী সব বিষয় তুলে ধরেছেন। নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সব ‘অসত্য তথ্য’, দলিলাদি দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবে আশা করি।’

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বাইরে আমি কোনো দেশের নাগরিক নই, কখনো নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করিনি, এমনকি আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের বাইরে নেই। এছাড়া হলফনামায় আমি যে তথ্য দিয়েছি সেটি শতভাগ সঠিক।’

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দলীয় মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) ও মো. ফারুক হোসেন।

এদিকে ওই সময়েই আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের পক্ষ থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের বিরুদ্ধেও দ্বৈত নাগরিক হওয়ার অভিযোগ এনে মনোনয়ন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়।

তবে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে আবেদনকারী দুই প্রার্থীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। সেই সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার শামীম হক ও আব্দুল কাদের আজাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার এ প্রসঙ্গে বলেন, দ্বৈত নাগরিকের অভিযোগ দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত না থাকায় তা আমলে আনা হয়নি।