মেডিকেল ক্যাম্পে গাইনি, মেডিসিন, শিশু বিশেষজ্ঞ, চর্মরোগ, চক্ষু বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এতে ৮জন ইন্টার্নি চিকিৎসকও তাদের সহযোগিতা করেন। ৫ হাজার রোগীকে চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ মাত্রা নিয়ে কাজ করেন সৈয়দ ফারুক।

ইকরছই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি জয়নাল আবেদীন। তিনি এসেছেন শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসা নিতে। জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি এসে দেখি রোগীদের প্রচণ্ড ভিড়। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তাররা ভালো ব্যবহার করেছেন। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে আমার রোগ সারবে। বিনামূল্যে ঔষধও দিয়ে দিয়েছেন। শহরের সেবা দিয়েছেন। ফারুক ভাইকে ধন্যবাদ।

চিলাউড়া পয়েন্টে ভাড়ায় থাকেন মধ্য বয়সি শোভা বেগম। তার ছেলে মো. দিলোয়ার হোসেন পড়েন ইকরছই মাদ্রাসায়। তিনি এবং তার ছেলে দু’জনেই অসুস্থ। এসেছে বিনামূল্যে ডাক্তার দেখাতে। যাওয়ার সময় হাতে অনেকগুলো ঔষধ। জিজ্ঞেস করলে তিনি খুশি হয়ে বলেন, ফ্রিতে ডাক্তার দেখিয়েছি। বিনামূল্যে ঔষধও দিয়েছেন ফারুক ভাই। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আমার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর মাস। তাঁর স্মরণে জগন্নাথপুর উপজেলার ৫ হাজার রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। বঙ্গবন্ধু মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। মানুষের সেবায় তিনি সারাটা জীবন কাটিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি কাজ করে যাচ্ছি। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে নৌকা প্রত্যাশী। নৌকা পেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।