সিলেটে করোনায় নিহত কাশেমের পরিবারকে সহায়তা করুন

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২০ 602 views
শেয়ার করুন

 

 

সিলেটের বিয়ানীবাজারে করোনায় নিহত সাবেক মেম্বার কাশেমের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আহবান জানানো হয়েছে বায়ান্ন টিভির আলাপচারিতা দেশে দেশে বাংলাদেশি থেকে। বিয়ানীবাজার পৌর আব্দুস শুকুর অনুষ্ঠানে বলেন, প্রবীণ শিক্ষাবীদ মজির উদ্দিন আনসার   এ প্রস্তাব করেন। পরে বায়ান্ন সম্পাদক লুৎফুর রহমান দর্শকদের মাঝে যারা প্রবাসি আছেন তাদেরকে সহযোগিতা করতে মেয়র বা শিক্ষাবীদ মজির উদ্দিব আনসারের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করেন।

মহামারি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে না গিয়ে মনের অদ্ভুত খেয়ালে স্বেচ্ছায় উধাও হয়ে চলে যান লোক চক্ষুর আড়ালে। কিন্তু পালাতে পারেননি মহামারি করোনার হাত থেকে। অবশেষে গত বুধবার দিবাগত রাত ১১টায় ভর্তিহন সিলেটস্থ শামসুদ্দিন হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তির ২ঘন্টা পর রাত ১টা ১০মিনিটে মৃত্যু তাঁকে আলিঙ্গন করে চিরদিনের জন্য উধাও করে নিয়ে যায় পরপারে। বলছিলাম মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণকারী বিয়ানীবাজারের প্রথম ব্যক্তি পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেম এর কথা। বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকাল ৫ টায় নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত আবুল কাশেম বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের মাটিজুরাস্থ টুকা-মালোপাড়া গ্রামের অধিবাসী। তিনি পার্শ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আছিরগঞ্জ বাজারের একজন ফার্মেসী ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসক। নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন একটি ভবনে স্বপরিবারে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আবুল কাশেমের মরদেহ গোসল, জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। এ সময় সহযোগিতা করেন বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ অবনী শংকর কর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবুল কাশেম মারা যাবার কারণে তার পরিবারের কোন সদস্য বা এলাকাবাসীকে মরদেহ দাফনের জন্য আসতে দেয়া হয়নি। লাশ দাফনের পর তার কবরে মাটি দেয় পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আবুল কাশেম। গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাহনেওয়াজ রহমান বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আবুল কাশেম সিলেট ও গোলাপগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তিনি বাড়িতেও যাননি। তাঁর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

উল্লেখ্য, আবুল কাশেম বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার ঐক্য কল্যাণ সোসাইটি গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার সন্তান রেখে গেছেন