নীতি-আদর্শে অবিচল লোকমান আহমেদ’রা সমাজের ভরসা

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২১ 480 views
শেয়ার করুন

কত পথ গিয়ে মিশে
রাজপথ ধরে
তুমার দোয়ারে এসে
হে শহর নগর বন্দর,
কত নদী গিয়ে মিশে
তুমার দোয়ারে এসে হে সাগর
তুমি কভু বদলাওনি।

কত জল তরঙ্গ খেলে
সূর্য কিরণ পেয়ে
কত ঢেউ অতলে বিলায়
কত ঢেউ সুদূরে এসে
মিলায় বালুচরে
হে সাগর তুমি কভু কারো
পথে আটকাও নি।

তবোও তুমি শহর
তুমি নগর বন্দর
তুমি নদী তুমি মহা সাগর।।

জীবন যুদ্ধে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা এক সূর্যমানব এসেছিলেন ধরায় কোনো এক সময় মানবতা নিয়ে।মানবের দ্বারে দ্বারে মানবতা বিলাতে।এমন মানবের আজ জন্মদিন। জন্মদিনে সে মানবের কথা স্বরণ করতে মন চাইছে তাই এ কয়টি লাইন লিখতে বসা।কি লিখতে চাইছি আর কি লিখব বোধে আসছে না।

জীবনাকাশে মেঘে মেঘে অনেক বেলাই হয়ে গেছে।সূর্যটা মাথার পেছনে উঠে এসেছ।এ বেলায় পথ পেরোতে পথের বাকে নানা রঙের মানবতাবাদি, মানবতার ফেরিওলা দেখেছি।কারো সান্নিধ্য পেয়েছি কারো পাইনি।
যাদের পেয়েছি তাদের মানবতার ধরণ আর করণ দুটিই দেখেছি।যাদের সান্নিধ্য মিলেনি শুধু দূর হতে দেখেছি সে সকল মানবতার ফেরিওয়ালাদের মানবতার ধরণ ও করণ। সকল মানবতার নমুনা সংরক্ষণ করে হিসেব করতে বসে হিসেব মোঠে আসেনা।তিনে দুয়ে পাঁচ না কি ছয় হয়,না কি তেইশ।

পথ চলতে গিয়ে মানুষ অনেক ভুল করে। কারো সে ভুল শুধরানোর ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছেন। আবার অনেকের বেলায় তা দেন নি।দোষে গুণেই হয় মানুষ।এ দুয়ের মিশ্রণ যদি না থাকে সে তবে হয় শয়তান না হয় ফেরেশতা।

মানুষ আছে বিধায় জগতে যত সব লোভ লালসা হিংসা অহংকার। যারা এ জগত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন তারাই প্রাকৃত মানুষ।

মেঠো পথে চলতে হাজারো শেওলা এসে পথে বেড়া দেয়।আমি সে পথে চলতে অনেককেই দেখেছি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে পথের দু’ধারে।

সে সকল মেঠোপথের পথিক মানবের ভিড়ে এমন একজনকে চলতে পথে দেখেছি।যার চলার পথে হাজারো শেওলাকাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।তবোও সে সূর্য মানবের চলার পথ শেষ হয়নি।কিংবা চলা বন্ধ হয়ে যায়নি ছুটে চলেছেন একই পথে একই ধারায়।

যার গায়ে কোনো পথ বদলের হাওয়া লাগেনি।কোনো লোভ লালসা তার গায়ে এসে মুড়য়নি।আসেনি এমনটা নয়।তবে পাশে বাসা বাধবার কোনো ফুরসত পায়নি।

আমার যা জানা,যদি ভুল না হয় তবে তিনি একজন সফল সন্তান,একজন সফল ভাই ও একজন সফল বাবা।সর্বোপরি একজন পতিক।

ছোট বেলায় পিতৃবিয়োগের পর তিনি পরিবারের সবার বড় ছেলে হওয়াতে তার উপরে এসে পড়ে ছিলো সকল দ্বায়িত্ব ভার। তিনি কতোটা সুনিপুণ ভাবে সুরক্ষিত রাখতে কিংবা সাধ-আহ্লাদ পুরণ করতে পেরেছেন তার পরিবারের,সে আমি বলছি না।শুধ বলছি আজকের এ জগতে কজনেই বা পারেন তার মতন করে পরিবারের দ্বায়িত্ব পালন করতে।যার সংসারের চাকা তখন ততোটা সচল ছিলোনা।ঠেলায় ধাক্কায় চালাতে হয়েছে পথ। শত কষ্টের মাঝেও একজন ভাই বোনেরও লেখাপড়া বন্ধ করতে দেননি।ভাই বোনের মধ্যে কাকে কতটা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছেন সে আমি বলতে পারবা না।তবে দম চওড়া করে বলতে পারব সে কথা।পরিবারের ভাই বোনদের মধ্যে কেউ পথে বসে নেই।সকলেই একেকটা চেয়ার জুড়ে বসা আছেন। শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, ব্যাংক অফিসার,জনপ্রতিনিধি হয়ে ব্যবসা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ পদ পদবী জুড়ে রয়েছে যাদের অবাধ বিচরণ। এমন একজন সফল মানবের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাবার আগ্রহ প্রকাশের সাহস আমার নেই । “পোড়া মন মানেনা শাসন বারণ” শুধু বুঝানোর একটুখানি চেষ্ট করছি মাত্র।

শুভ জন্মদিন হে প্রিয় অগ্রজ মানব। আপনার জন্মদিনে অফুরান ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা।অনাগত দিনগুলো কাটুক সুখের ভেলায় চড়ে অবিরাম অন্তহীন।

শুভ জন্মদিন।।