আওয়ামী লীগ কি “কাবিম” নীতিতে নেতাকর্মীদের মনোনিত করবে

প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২১ 899 views
শেয়ার করুন

ডাক্তার দীপু মনি থেকে হাবিবুর রহমান আর কত মনোনয়ন পত্র এ ধারায় দেবেন শেখ হাসিনা ২০১১ সালের সূর্যাস্ত কিংবা ১২ সালের সূর্যোদয়ের সময়কার কথা।সে যদি আমার ভুল না হয়।

চ্যানেল আই ইউরোপ’র কর্ণধার স্টেট ডায়ালগ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক রেজা আহমদ ফয়সাল চৌধুরী সুয়েব সাহেবের তার এক অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আসা সাবেক এটর্নি জেনারেল কে এস নবী সাহেবকে লন্ডনে ফয়সল চৌধুরী প্রশ্ন করে ছিলেন ডাক্তার দীপু মনি সম্পর্কে।তিনি ব্যঙ্গকরে বলেছিলেন ডাক্তার দীপু মনি!কে ঐ শেখ রেহানার পাকের মাইয়া(রাধুনি)। এমন জবাব চৌধুরী বিব্রতবোধ করে বলে ছিলেন এমন ভাবে বলাটা কি ঠিক হচ্ছে।তার জবাবে আবার পাল্টা প্রশ্ন করে ছিলেন জনাব নবী চৌধুরীকে আপনার জন্ম কবে?
চৌধুরী জবাব দিলে তখন নবী সাহেব বলে ছিলেন তুমার যখন জন্ম তখন আমার আইন পড়া শেষ হয়ে গেছে। আমাকে কেনটা উচিৎ আর কোনটা অনুচিৎ সেটা শেখাতে যাবেন না।পরে তিনি বলে ছিলেন দীপু মনী শুধু রান্নাই করত না।সে শেখ রেহানার বাচ্ছা ও দেখাশোনা করত।
ঐ সময় আচমকা একটি বিজ্ঞাপন বিরতি চলে আসে এর পর আর কি হলো শোনা হয়নি।তারো পরে জেনেছি কানাডায় একজন আছেন যিনি শেখ হাসিনার মেয়ের দেখাশোনার কাজ করেন।আমেরিকায় একজন আছেন আশরাফুল আলম খোকন যিনি আমিরিকায় বাংলাদেশি একটি টিভি চ্যানেলের একজন প্রতিনিধি ছিলেন।জয়ের দেখভাল করতেন।সে থেকে কেমনে তিনি শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সচিব হয়েছিলেন।

সিলেট তিন আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন হাবিবুর রহমানকে দেয়া নিয়ে আসনটির অনেক ত্যাগী নেতাদের মন ভিষণ বিষাদে ভরা।
তাদের অনেকেই ভাবেন তারা গাছ লাগিয়ে জল দিয়ে বড় করবেন, পাহারা দেবেন,আর ফল খাবেন ননদের পরকীয়া প্রেমিক। তারা তলারটাও কুড়িয়ে খেতে পারবেন না।

অনেকেই বলেন শেখ হাসিনা টাকার বিনিময়ে লন্ডন থেকে টেনে এনে একজন টেম্পু ড্রাইভার কে মনোনয়ন দিয়ে দিলেন।আমরা কি পেলাম।

এদিকে আবার সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শফি আহমদ চৌধুরীকে দাঁড়িয়ে দিলেন।এ কেমন খেলা।এদিকে ড্রাইভার খুশি আর ওদিকে শফিসাহেবকে দিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে যাবেন।নেতাকর্মীরা দিনের বেলা হাবিব গীতি আর রাতের বেলা শফি গীতি গাইবেন।
এমন যদি হয় রাজনীতির চাদর তবে ত্যাগি নেতাদের কি হবে।যারা শেখ হাসিনার গায়ের চাদর হয়ে শীতে পাহারা দেন গরমে পাখা আর রোদ বৃষ্টিতে ছাতা হয়ে।

শেখ হাসিনা যদি এভাবে ছেলে মেয়ে আর বোনের মন খুশি করতে থাকেন কাজের বিনিময়ে মনোনয়ন পত্র দিয়ে তবে যখন সুবিধা ভুগিরা পাশে থাকবেনা তখন ত্যাগিরা কি পাশে থাকবেন।

৫২ টিভির “মুক্তচিন্তা” বিভাগে প্রকাশিত লেখার জন্য লেখক দ্বায়বদ্ধ।