রাজশাহী নগরীতে এক কিশোরীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার পর ভ্রূণ হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সিফাত হোসেন (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা শনিবার (৬ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ওই রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সিফাত হোসেনের বাড়ি নগরীর মেহেরচন্ডী চকপাড়া এলাকায়। তার পিতার নাম মো. বাবু। তিনি ন্যাশনাল ব্যাংকের সাহেব বাজার শাখায় পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় সিফাত। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরী প্রায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তার মা-বাবা বিষয়টি বুঝতে পারেন। এলাকাবাসীর মাঝেও সেটি জানাজানি হয়ে যায়। ফলে সিফাত ওষুধ কিনে এনে ওই কিশোরীকে খাইয়ে ভ্রূণ হত্যার চেষ্টা করে। তবে ওষুধ খাওয়ানোর আগেই এলাকার লোকজন তাকে ধরে ফেলে। এদিকে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা ফরিদ হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তৎক্ষনাৎ অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিফাত এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর শান্তিবাগ এলাকার বাবুর মেয়ে মোছাঃ লাভলীকে বিয়ে করে। তবে মোবাইল ফোনে কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় এবং অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয় সিফাত।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনির জানান, কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তারকৃত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
