সৈয়দপুরে কেন্দ্র দখল ও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ

জাপা প্রার্থীর ভোট বর্জন

নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১ 406 views
শেয়ার করুন
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচনে সকাল থেকেই পুলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল ও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক।
 
সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের ক্যান্টনমেন্ট রোডস্থ লাঙ্গল প্রতিকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রতিটি কেন্দ্রেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা লাঙ্গলের পুলিং এজেন্টদের জোড় করে বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখলে নিয়েছে।
 
প্রতিবাদ করায় এজেন্টদের মারপিটও করা হয়েছে। এমনকি মহিলাদের গায়েও হাত দেয়া হয়েছে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে। আমাদের কোন কর্মী সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছেনা। সাধারণ ভোটাররা বুথে প্রবেশ করলে তাদেরকে ভোট দিতে বাধা দিয়ে নৌকার লোকজন নিজেদের প্রতিকে ভোট দিয়ে দিচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলেও ভোটারদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।
 
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, আমার বৃদ্ধা মাও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। তাকেও আওয়ামীলীগ বের করে দিয়েছে। আমার স্ত্রীও কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হেনস্তার শিকার হন এবং তাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে নৌকার পুলিং এজেন্টসহ কর্মকর্তারা। এভাবে প্রায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্র থেকেই জাতীয় পার্টির লোকজনকে বের করে দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত নৌকায় ভোট দেয়া হচ্ছে। এমনকি অনেকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি যে, ইভিএমে শুধুমাত্র নৌকা প্রতিক রয়েছে। সেখানে অন্য কোন মার্কা নেই।
 
তাই বাধ্য ভোটাররা নৌকায়ই ভোট দিচ্ছেন বা না দিয়েই ফিরে আসছেন। আর সে সুযোগে ওই ভোটটা আওয়ামীলীগের লোকজন নৌকা দিচ্ছে। সিদ্দিকুল আলম বলেন, এমতাবস্থায় ভোট করার মত কোন পরিবেশ বিদ্যমান নেই। জাতীয় পার্টি সরকারেরই অংশ। তাই আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতেই নির্বাচনে এসেছি। কিন্তু আমাদেরকেও সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানে বাধা দেয়া হচ্ছে। এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায়না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং চলতি ভোট স্থগিত করে পূণরায় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
 
সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এই মুহুর্তেই আমরা নির্বাচন কমিশনারকে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছি। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সিদ্দিকুল আলমের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, সৈয়দপুর জাপা নেতা ডাঃ সুরত আলী, সৈয়দপুর সরকারী হিন্দী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট সুমনা আলম, শহীদ জিয়া শিশু নিকেতন কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট ইতি।
 
ইয়াসমিন আলম বলেন, সরকারের অংশ হওয়ার পরও আওয়ামীলীগ যদি জাতীয় পার্টির সাথে এমন আচরণ করে এভাবে শুধু নৌকাতেই ভোট নিবে তাহলে কি দরকার ছিল নির্বাচন দেয়ার। অটোভাবেই নৌকাকে পৌর পরিষদে বসিয়ে দিলেই তো হতো। তাহলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার শিকার হতে হতোনা সৈয়দপুরবাসীকে। এভাবে জনগণের টাকার খেয়ানত না করে প্রহসনের নির্বাচনের কোন প্রয়োজন ছিলনা। আমরা এর দৃঃষ্টান্তমুলক বিচার দাবি করে ভোট স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
_____________
মোঃ জাকির হোসেন
নীলফামারী জেলা