কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২০ 457 views
শেয়ার করুন

পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। কোরআন শব্দের অর্থ: পাঠ করা, যা পাঠ করা হয়। আর পরিভাষায়-আল্লাহ তা‘আলা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে সুদীর্ঘ ২৩ বছরে মানব জাতির হেদায়াত হিসাবে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন তার নাম আল-কোরআন।

এটি অবতীর্ণ হয়েছে বিশ্বমানবতার মুক্তি, সৎ আরসত্যের পথ দেখানোর জন্য। অন্ধকারাচ্ছন্ন এক বিভীষিকাময় জাহেলি সমাজে কোরআন এনেছিল আলোকময় সোনালি সকাল। কোরআন আল্লাহ্‌র বাণী। সৃষ্টিকূলের ওপর যেমন স্রষ্টার সম্মান ও মর্যাদা অপরিসীম, তেমনি সকল বাণীর ওপর কোরআনের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অতুলনীয়। মানুষের মুখ থেকে যা উচ্চারিত হয়, তার মধ্যে কুরআন পাঠ সর্বাধিক উত্তম।

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত অফুরন্ত। এ সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস রয়েছে। উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ওই ব্যক্তি, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।’ (বুখারি)।

হজরত আয়শা (রা.) রসুলুল্লাহ (সা.) থেকে ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের জ্ঞানী হবে, কিয়ামতের দিন সে সম্মানিত ফেরেস্তাদের সঙ্গে থাকবে। আর যে কোরআন শেখার চেষ্টা করবে, শিখতে শিখতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে অর্থাৎ শেখার জন্য সে চেষ্টা করে, তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি অক্ষর পড়বে বিনিময়ে তাকে একটি সওয়াব দেওয়া হবে। আর প্রতিটি সওয়াব ১০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’ (তিরমিজি)।

কিয়ামতের ভয়াবহ দিন যখন আপনজন ও ধনসম্পদ কোনো কাজে আসবে না, তখন কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কোরআন তেলাওয়াত কর। কারণ কিয়ামতের দিন কোরআন তার তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ (মুসলিম)।

অন্য হাদিসে রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন কোরআন তার তেলাওয়াতকারী ও আদেশ-নিষেধ মান্যকারীকে বলবে, আমাকে চিনতে পারছো? আমি সেই কোরআন যে তোমাকে রোজার আদেশ দিয়ে দিনে পিপাসার্ত আর রাতে নামাজে রত রেখেছি। প্রত্যেক ব্যবসায়ীই তার ব্যবসার মাধ্যমে লাভবান হতে চায়। আজ তুমি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছ। তারপর ওই বান্দার ডান হাতে বাদশাহি, বাম হাতে জান্নাতে বসবাসের পরোয়ানা দেওয়া হবে। মাথায় নূরের তাজ পরানো হবে এবং বলা হবে, কোরআন পড়তে থাকো আর উচ্চ মাকামে উঠতে থাকো।’ (মুসনাদে আহমাদ)।