ছবি তুলে ত্রাণ কেড়ে নিলেন চেয়ারম্যান, ফেসবুকে নিন্দার ঝড়

প্রকাশিত: ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২০ 358 views
শেয়ার করুন

ত্রাণ দেওয়ার ছবি তোলার পর ২৬টি পরিবারের কাছ থেকে তা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন অসহায় পরিবারগুলো।

গতকাল দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার পরিবারগুলো এ ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারকে।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগম মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে গতকাল থেকেই। অনেকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

কেউ কেউ বলছেন, সারা পৃথিবীতে মানুষ মহামারী এ করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত। নির্দয়ের মনেও এ সময়ে দয়া জন্মেছে। ভন্ড প্রচারকরাও নিজেদের কিছুটা হলেও থামিয়ে নিয়েছে। এমন সময়ে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন ভাণ্ডামি আর জনগণের সাথে নির্দয় আচরণ করা কোনো সুস্থ মানুষের পরিচয় না। একে ধরে শাস্তি স্বরুপ পাগলা গারদে পাঠানো উচিত।

জানা যায়, অভিযুক্ত নুরুল আবছার হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এবং নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন জানান, মির্জাপুরের চেয়ারম্যান ত্রাণের কথা বলে লোকজনকে পরিষদে নিয়ে যান। তাদের ত্রাণ দেওয়ার পর তা আবার কেড়ে নেন। অসহায় ২৬টি পরিবারের লোকজন উপজেলা পরিষদে এসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ দেওয়া হয়।

মারধরের শিকার কয়েকজন জানান, গতকাল সকালে ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে শতাধিক ব্যক্তিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। এ সময় চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও তার লোকজন ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে ছবি তোলেন। ছবি তোলার পর চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মিজানুর রহমান টিপু ও তার লোকজন প্রদান করা ত্রাণগুলো কেড়ে নেয়।

এর প্রতিবাদ তারা সবার ওপর হামলা করে। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২৬টি পরিবারকে ত্রাণ দেন।