কমেছে রেমিটেন্স, চিন্তায় আছেন প্রবাসির পরিবার

সঞ্জয় ঘোষ সঞ্জয় ঘোষ

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২০ 1,112 views
শেয়ার করুন

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে এখন পুরো বিশ্ব অবরুদ্ধ। বন্ধ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। রেমিট্যান্স আহরণের দেশগুলোর অচলাবস্থায় বেকার হয়ে পড়ছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন না তারা। দেশের প্রবাসি অধ্যুষিথ অঞ্চল সিলেটে রেমিটেন্স আসা কমে গেছে। ফলে দেশের অর্থনীতির সূচকগুলোর মধ্যে আশা জাগানো প্রবাসী আয়ে ধাক্কা লেগেছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে প্রবাসী আয় কমেছে ১ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের পুরো মার্চজুড়ে ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। এবার ১২ই মার্চ পর্যন্ত প্রথম দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা পাঠান ৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। তবে মার্চ শেষে এর পরিমাণ ১২৮ কোটি ডলারে থেমেছে।

ব্যাংককাররা জানান, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দেশে লকডাউন চলছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে থাকা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ওমান, কাতার, ইতালি, বাহরাইনসহ অধিকাংশ দেশে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বেশিরভাগ দেশে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় হাতে টাকা থাকলেও অনেকে পাঠাতে পারছেন না। আবার অনেকে ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলার জন্য সঞ্চয় করছেন। সিলেটে আগে রেমিটেন্সের গ্রাহক বেশি থাকলেও এখন সে তুলনা নগন্য জানালেন ব্যাংক কর্মকর্তা উম্মে তাজবীন নীলা।

এদিকে ছুটিতে আসা সিলেটি প্রবাসীরা আতংকিত আছেন। অনেকেই এসেছিলেন স্বল্প সময়ের ছুটিতে। দেশে আসার পর করোনার ব্যাপক বিস্তারে বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনেক দেশে চলছে লকডাউন, কোম্পানিগুলো বন্ধ আছে।
প্রবাসী যারা দেশে এসেছেন তারা এখন হতাশ অনেকের জমানো স্বল্প টাকাও শেষ হয়ে গেছে। প্রবাসী বলে অনেকে পাচ্ছেন না কোন সহযোগিতা। অনেকে আবার চোখ লজ্জায়ও কারো কাছে সাহায্য কামনা করতে তারা শংকোচ বোধ করছেন।