সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক

আমিনুল হক আমিনুল হক

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ২:১২ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২০ 439 views
শেয়ার করুন
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল শোক জানিয়েছেন।
 
বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
 
এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, ‌’প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসবে সিলেটের উন্নয়নে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান যে অবদান রেখেছেন সেজন্য মানুষ তাকে সবসময় মনে রাখবে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হারাল।’
 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী ক‌মি‌টির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
এক শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বীয় কর্মের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা কামরান গণমানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।’
 
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
 
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
 
তিনি বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আব্দুল মোমেন শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘কামরান বিশেষ করে সিলেট মহানগরে দলমত নির্বিশেষে গণমানুষের নেতা হিসেবে সকলের ভালোবাসার বিশ্বস্ত ঠিকানা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেমনি সংগঠনের একজন বিশ্বস্ত ত্যাগী নেতাকে হারালো, তেমনি সিলেটবাসী হারিয়েছে তাদের প্রাণপ্রিয় একজন অবিভাবক ও ভালোবাসার মানুষকে, যা সহজে পূরণ হবার নয়।’
 
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শোকবার্তায় বলেন, বদরউদ্দিন কামরানের মৃত্যুতে সিলেটে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবে না। কামরান ছিলেন গণমানুষের নেতা। গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু হয় তার রাজনৈতিক অধ্যায়। ধীরে ধীরে পৌরসভার কমিশনার থেকে চেয়ারম্যান। ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোদিন পূরণ হবে না।
 
সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শোকবার্তায় বলেন, কামরান ভাই জনগণের নেতা ছিলেন, সিলেটবাসী তাকে চিরকাল স্মরণ করবে। আমার কাছে যখন ফোন আসলো তখন আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না কামরান ভাই নেই। গতকালকেও আমি খবর নিয়েছিলাম জানতে পেরেছি তিনি ভালো আছেন। সমগ্র সিলেটবাসী আশা করেছিল তিনি আবার সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। তার এই মৃত্যুতে সবার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুক।
 
তিনি আরো বলেন, কামরান ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘকাল কাজ করেছি। তিনি মেয়র ছিলেন আমি তখন কাউন্সিলর। এছাড়াও আমার সঙ্গে উনার ব্যাক্তিগত সম্পর্কও ছিল। যখন আমার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হলেন তখন তিনি ফোনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। আমাকে বললেন বেশি বের না হতে আমরা ডায়বেটিস রোগী সাবধানে থাকতে। এমনকি ঢাকা যাওয়ার আগের দিনও উনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
 
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
 
সোমবার এক শোক বার্তায় তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন বিপুল জনপ্রীয় একজন নেতা। যুবক বয়স থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণমানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। সাধারন মানুষের একান্ত আপনজন বদর উদ্দিন কামরান বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মের মাঝে।
 
এছাড়া সিলেটের সর্বস্তরের সকল নেতাকর্মীরা শোক প্রকাশ করেন।
 
উল্লেখ্য, সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল ৭টায় মরদেহ নিয়ে সিলেট রওয়ানা হন তাঁর ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু।
 
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।