নালা-নদীর মাটি কেটে বিক্রি করায় আটকের পর ২ লক্ষ টাকা জরিমানা, মুচলেকায় মুক্তি
সংবাদ প্রকাশের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
ইয়াকুব শাহরিয়ার, ইয়াকুব শাহরিয়ার,
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের তেহকিয়া গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের ফাইব্বার দাঁইড় নালা ও নিতাই নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছিলো গ্রামের একটি প্রভাবশালী মাটি চক্র। এই মাটি দেদারসে বিক্রিও করে আসছিলো তারা। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিয়েছিলে তেহকিয়া গ্রামের শতাধিক মানুষ। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বানী চৌধুরী। এসময় তেহকিয়া গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে আতাউর রহমানকে আটক এবং মৃত সাহেব আলীর ছেলে বাবুল মিয়াকে শোকজ করেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় আটককৃত ব্যক্তির উপর ২ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল হবে বলে রায় দেন এসিল্যান্ড। মুচলেকায় উল্লেখ করা হয়, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে খনন করা জায়গা পুনরায় ভরাট করে দিতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফজলে রাব্বানী চৌধুরী বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাটি খননের বিষয়টি দেখেছি। সাথে সাথে আতাউর রহমানকে আটক করেছি। তার উপর দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ মাসের জেল হবে। এছাড়া মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে খননকৃত মাটি ভরাট করে দিতে হবে।