চুনারুঘাটে রেমা চা বাগানের বিরোধ নিষ্পত্তি ৩ মাস পর চালুর সিদ্ধান্ত

নুর উদ্দিন সুমন নুর উদ্দিন সুমন

হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০ 481 views
শেয়ার করুন

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রেমা চা বাগান পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২ জুন দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশের সভাপতিত্ব বৈঠকে এ উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজমুল হক, গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, রেমা চা বাগানের ডিজিএম ওয়াহিদুল হকসহ প্রমুখরা। সুত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার চুনারুঘাটের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্করের মধ্যস্ততায় মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়। এর পরপরই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমঝোতা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিবে। এর মধ্যে বাগান কতৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা সমজিয়ে দিবে। বিষয়টি সমাধান হওয়ায় ৩ মাস পর রেমা চা বাগানে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৬ মার্চ রেমা চা বাগানের ম্যানেজার ও শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ৯ মার্চ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার-ইন-চার্জ চুনারুঘাট থানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনার পর মালিকপক্ষ বাগানের সামগ্রিক কর্মকান্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখেন।

বাগানের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মারাত্মক অর্থকষ্টে পড়েন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক চা শ্রমিকদের জন্য ৩ টন চাউল বরাদ্দ প্রদান করেন যা ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে বন্টন সম্পন্ন হয় করা হয়েছে। পুলিশ সুপারও নিজ উদ্যোগে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর বলেন ভবিষ্যতে মালিক ও শ্রমিক এর মধ্যকার সুসম্পর্ক অটুট রাখার স্বার্থে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বাগান পরিস্থিতি মনিটরিং করবে।

বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি আশাবাদী রেমা চা বাগান আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি বিষয়ে সুনজর রাখার জন্য মালিকপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।