বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গাই সর্বোউত্তম জায়গা
শান্তিগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা
ইয়াকুব শাহরিয়ার, ইয়াকুব শাহরিয়ার,
নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত জায়গায় নির্মাণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, আমাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করার জন্য যে জায়গা ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে জেলার মধ্যে এই জায়গাটিই সর্বোত্তম জায়গা। সুনামগঞ্জ জেলার বেশিরভাগ উপজেলার জন্য একেবারে ‘মিডল’ পয়েন্ট। জগন্নাথপুর, ছাতক, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদরসহ প্রায় সবক’টি উপজেলার মধ্যমস্থল হচ্ছে দেখারহাওর পাড়ের বর্তমান জায়গা। তাছাড়া এটি সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার জমি নিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সুনামগঞ্জ শহরে অথবা ভারতের পাদদেশে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছেন। আপনারা লক্ষ করলে দেখবেন যে, নিকট অতীতে যে ক’টি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে তার কোনোটিই শহরের ভিতরে নয়। বরঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে শহর গড়ে উঠেছে। নতুন শহরের সৃষ্টি হয়। যারা স্থান পরিবর্তন চাইছেন তাদের কেউই সুনামগঞ্জ শহরকে বড় করতে চাননা। তাদের নির্দিষ্ট গণ্ডির ভিতরে রাখতে চান। কার স্বার্থে তারা এসব করছে?
শুক্রবার সকাল ১১টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনছার উদ্দিন, জেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রিয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা জামায়তের আমির হাফিজ আবু খালেদ।
তাঁরা বলেন, যারা চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয়টি শহরের ভিতরে হোক তারা একটু দূরদর্শী চিন্তা করুন। আরও এক-দুই দশক পরে শহর এসে যুক্ত হবে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। শাহজালাল, চট্টগ্রামসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো শহরের বাইরে। আমরা কেনো শহরের দিকে টানছি? ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা ব্যর্থ প্রয়াস চালাবেন না। এটা সুনামগঞ্জবাসীর আবেগ এবং স্বার্থসিদ্ধির বিষয়। ভারতের পায়েক কাছে নিয়ে যেতে চাইছেন কেনো? মনে রাখবেন, ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র নয়। সুতরাং এতোবড় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভারতের থাবার মুখে, পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সে স্থানই সর্বোচ্চ উপযুক্ত স্থান। আমাদের দাবি, দ্রুত নির্ধারিত স্থানেই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হোক।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে কথা বলেন হাম্মাদ আজাদ রহিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুর আলী, উপজেলা বিএনপি নেতা ইরান উদ্দিন, ইলিয়াছ মিয়া, আবুল কালাম, সৈয়দ আলম, লিটন মিয়া, উপজেলা জমিয়ত নেতা মাও. হোসাইন আহমদ, মাও. আবদুল হাফিজ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের আমিন উদ্দিন, আপন আহমদ, তামিম আহমদ, লিটন মিয়া, নাসিম আহমদ, হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।