কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার তিন দাবিতে শান্তিগঞ্জে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ 175 views
filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; module: j; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: SFHDR; cct_value: 0; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 116.90379; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;
শেয়ার করুন
জলমহাল না শুকানো, নদী-খাল-বিল খনন ও হাওর রক্ষা বাঁধের প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রæত বাস্তবায়ন করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দল ও অঙ্গসহযোগি সংগঠন। সোমবার বিকাল ৩টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিগঞ্জ বাজারের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতা কর্মীরা। এসময় মানববন্ধনে অত্রাঞ্চলের অনেক কৃষকের উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পাথারিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোটর চালক দলের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। দলটির একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজির ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দলের সভাপতি, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সুনামগঞ্জ জেলাা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাজু। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের পরিষ্কার বার্তা হচ্ছে কোনো জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা যাবে না। শত শত কৃষকের জমিতে কৃত্রিম পানির সংকট সৃষ্টি করলে আমরা তা মেনে নেবো না। ইতোমধ্যে সুরমা নদী, লুমার দাইড়, বলাই মড়লের জাঙ্গাল, গণিগঞ্জ হাওরের মাঝের জাঙ্গালসহ যেসব খাল-বিল, নদী বা জলাশয় ভরে উঠেছে সেগুলো খনন করতে হবে এবং বর্তমানে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৬৫টি বেরিবাঁধের কাজ চলমান আছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিটি বেরিবাঁধের কাজ শেষ করতে হবে। তাদের এসব দাবি বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- কৃষক দুলাল আহমদ, আবদুল মন্নান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাব্বির আহমদ ও কৃষক জহুরুল ইসলাম। উপরোক্ত দাবি ছাড়াও এই অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থে গণিগঞ্জ গ্রামের বড় হাওরের মাঝখানের সড়ক ও বলাই মড়লের জাঙ্গালের বেরিবাঁধ নির্মাণের জোর দাবি করেন কৃষকরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- কৃষক আবদুল আউয়াল, নূরুল ইসলাম, কুদ্দুছ মিয়া, হাসমত আলী শফাত, আবদুল মুকিত, আবদুল কাইয়ুম, আঙ্গুর মিয়া, কুদ্দুস আলী, রেজাউল ইসলাম, সেলিম আহমেদ, আতর আলী, সোনাই মিয়া, আরজু মিয়া, আবদুল মকব্বির, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, কাচা মিয়া, আনোয়ার হোসেন, হারুন মিয়া, মুজিবুর রহমান, মহিম উদ্দিন, জমির আলী, সাদিকুর রহমান, হাতিম আলী, রব্বানী মিয়া, রুক উদ্দিন, হাফিজ মঈনুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল, আবদুল হাকিম ও মামুন মিয়া প্রমুখ।