নেতাকর্মীরা জানান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উর্বর ভূমি। এখানে আনছার উদ্দিন ও ফারুক আহমদের মতো ত্যাগী নেতাদের জন্ম হয়েছে। রাজনীতিতে স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি পরিবারটিকে এগিয়ে নিতে এই দুই নেতা আলাদা বলয়ে হোক আর আর এক সাথেই হোক দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। গত সরকারের দেওয়া মামলা, হামলায় তারা অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন৷ জেল খেটেছেন। গ্রেফতার এড়াতে হাওর-জঙ্গলে অসংখ্য রাত কাটিয়েছেন। শান্তিগঞ্জে রাজনৈতিক কোনো গ্রুপিং নয়, আছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। এটাই রাজনীর সৌন্দর্য।
জেলা বিএনপিতে এই ত্রয়ী নেতার স্থান পাওয়া নিয়ে কথা হয় উপজেলার একাধিক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর সাথে। বিষয়টি নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত তারা।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক ও উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ওবায়দুল করিম মাছুম বলেন, আনছার উদ্দিন, ফারুক আহমদ ও নূর আলী আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক। তারা জেলার ৩২ জনের আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি, আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। আমরা বিশ্বাস করি তাদের নেতৃত্বে একটি যোগ্য কমিটি পেতে যাচ্ছি আমরা। যে কমিটিতে ত্যাগী, কারা বরণকারী, নির্যাতিত কর্মীরা স্থান পাবেন। তারা ত্যাগীদের মূল্যায়ণ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। আমাদের উপজেলা থেকে তিন নেতাকে কমিটিতে স্থান দেওয়ায় বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, কয়ছর এম আহমদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে আহ্বায়ক কমিটির তিন সদস্যকে অভিনন্দন!
উপজেলা যুবদল নেতা ফরিদ গাজী, দরগাপাশা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী শাহ আলম ও ছাত্রদল নেতা মানছুর আহমদ বলেন, আমাদের উপজেলা থেকে তিন নেতা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। শান্তিগঞ্জ উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উর্বর ভূমি। শান্তিগঞ্জে রাজনৈতিক কোনো গ্রুপিং নয়, আছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। এটাই রাজনীর সৌন্দর্য। ফ্যাসিস্ট সরকারের উত্তাল সময়েও শান্তিগঞ্জ বিএনপি সক্রিয় ছিলো। ত্যাগী নেতারা সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় কার্যক্রম আরও বাড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে এই কমিটিতে কিছু ত্যাগী, কারা বরণকারী নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা আশা করবো, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময় তারাও মূল্যায়িত হবে।
বিএনপির সুনামগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে স্থান পাওয়া তিন নেতা আনছার উদ্দিন, ফারুক আহমদ ও নূর আলী বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদসহ যারা আমাদেরকে মূল্যায়ণ করেছেন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মনে করছি এই কমিটির মধ্য দিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ণ করা করা হয়েছে। আর যারা বাদ পড়েছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তারা স্থান পাবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আগেও সক্রিয় ছিলো এখনো সক্রিয়। আমাদের উপর যে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে আমরা চেষ্টা করবো তা যথাযথভাবে পালন করার। শান্তিগঞ্জে যারা কারা বরণ করেছেন, নির্যাতিত ছিলেন, হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছেন তারা মূল্যায়িত হবেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিকল্প নেই।