পুলিশের হাতে আটক আবুল হোসেন দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের সভাপতি নয়

অপপ্রচার প্রসঙ্গে নির্বাচিত কমিটির বক্তব্য

এম এ জামান এম এ জামান

বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০ 714 views
শেয়ার করুন

মোগলাবাজার থানার প্রবাসী দাউদপুর ইউনিয়নবাসীর অনলাইন সংগঠন দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের সাবেক সভাপতি লন্ডন প্রবাসী আবুল হোসেন সম্প্রতি সিলেটে গ্রেফতার হন। তার এই গ্রেফতার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মহল ট্রাস্ট নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। বিষয়টি ট্রাস্টের বর্তমান কমিটির দৃষ্টি গোচর হলে কমিটির সভাপতি আহমেদ জাকারিয়া জামি (ইউকে), সাধারণ সম্পাদক আছাদুর রহমান (ইউএই) ও কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান মিনু (ইউকে) এক যৌথ বার্তায় সাবেক সভাপতি অবুল হোসেনের ট্রাস্টের সাথে কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করেছেন।

নিউজ বিজ্ঞপ্তি তারা বলেন ২০১৬ সালের ১১ মে অনলাইন প্রবাসী সংগঠন হিসেবে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট যাত্রা শুরু করেছিলো। তৎকালীন সময়ে কিছু সমাজ হিতৈষী প্রবাসীদের দ্বারা ট্রাস্টের যে যাত্রা শুরু হয়েছিলো তা আজও অব্যাহত রয়েছে। বিগত ৪ বছরে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট যেসমস্ত মানবকল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়ন করেছে তা ইউনিয়নের ইতিহাসে বিরল। এর একমাত্র কৃতিত্ব দাউদপুর ইউনিয়নের সকল প্রবাসীদের; এর গর্বিত অংশীদার সচেতন দাউদপুর ইউনিয়নবাসী।

সম্প্রতি লন্ডন প্রবাসী আবুল হোসেন নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করা হচ্ছে, যা নিতান্তই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্খিত। এ প্রসঙ্গে আমাদের সুষ্পষ্ট বক্তব্য হলো-
সম্প্রতি একটি নারী নির্যাতন মামলায় লন্ডন প্রবাসী ইলাইগঞ্জ নিবাসী গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের সভাপতি নয়। ট্রাস্টের ১ম সভাপতি হিসেবে আবুল হোসেনের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুন মাসে শেষ হয়। এরপর যথারীতি নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তাব হলে আবুল হোসেন সহ গুটি কয়েক স্বার্থবাদী লোক নির্বাচন নিয়ে ঢালবাহানা শুরু করে। হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপে তৎকালীন সভাপতি আবুল হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতার ফলে উনার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। অধিকাংশ সদস্যদের ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হলে আবুল হোসেন গ্রুপ ত্যাগ করেন, সাথে ট্রাস্টের ফান্ড প্রায় ৪ লক্ষ টাকা সহ গুটি কয়েক লোক চলে যান। পরবর্তীতে তারা আইন, নিয়ম-নীতি কিংবা সামাজিক রীতির তোয়াক্কা না করে নিজে নিজে সভাপতি দাবী করে উনার অনুসারী হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্টের নাম ব্যবহার করতে থাকেন।
এদিকে, দাউদপুর ইউনিয়ন প্রবাসী ট্রাস্ট যথারীতি অনলাইন নির্বাচনের মাধ্যমে নিম্নোক্ত কমিটি নির্বাচিত করে ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে। ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন অনলাইন সংগঠনে প্রতিনিধি যথাক্রমে সেলিম উদ্দিন, আব্দুল মজিদ লাল মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, আব্দুল মতিন, মোহাম্মদ আলী প্রমূখ দ্বায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে ইংল্যান্ডে একটি সালিশী কমিটি গঠন করা হয় এবং তারা আবুল হোসেন গং-দের সাথে যোগাযোগ করে ট্রাস্টের অর্থ ফেরত এবং নাম ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলেন; এই উদ্যোগে কয়েকবার আবুল হোসেন গংদের বৈঠকে আনার চেষ্টা চালানো হলেও তাদের খামখেয়ালিপনা ও একগুয়েমি এবং স্বার্থের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাদের এহেন আচরণে সালিশি ব্যক্তিবর্গ অনেকটাই বিব্রত এবং অসন্তুষ্ট হয়েছেন। অথচ আমরা বিষয়টির সুরাহা/সমাধান করতে সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে চেষ্টা করেছি।

এমতাবস্থায়, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনার কারণে আমরা বিস্তারিত ঘটনা এবং আমাদের অবস্থান ইউনিয়নবাসীর কাছে তুলে ধরেছি। আমরা কাউকে জুলুম করতে চাই না; কারো প্রতি অন্যায় কিংবা কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে চাই না। কেউ অন্যায় করলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার প্রপাগান্ডা হলেও তা প্রচলিত আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।