সভা শুরুর পূর্ব থেকেই বিয়ানীবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা সভাস্থলে এসে যোগ দেন। এসময় পৌরশহর অনেকটা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সভায় বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি দেখা যায়।
সভায় নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, বিগত সময়ে বার বার আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে এমপি বানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী বানিয়ে আপনাদের উপহার দিয়েছেন। আমি আন্তরিকতার সাথে চেষ্ঠা করেছি এই জনপদের মানুষের উন্নয়নে কাজ করার। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অনেক সময় নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কিংবা জানা অজানায় আমার ভুলত্র“টি হতে পারে এজন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করি আপনারা আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে নৌকাকে বিজয়ী করতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করবেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, এখানে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ছাত্রলীগের, যুবলীগের রাজনীতি নেই। তিনি কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নয়, শুধুমাত্র জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমানের অনুরোধে আমি তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য করেছি। আমরা অনেককে নেতা বানিয়েছি, কিন্তু যারা আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন তারা আর কোনদিন মেইন আওয়ামী লীগের মূলস্টিমে উঠতে পারেন নাই। তিনি আরো বলেন, আজকে অনেকে লম্বা লম্বা কথা বলছেন, বেয়াদবের মতো কথা বলছেন আমরাও সাবাইকে চিনি। আপনা যান অন্যের সাথে কাজ করেন কিন্তু সালিনতা বজায় রেখে কথা বলেন। সালিনতা শিখতে হয় যার যার পরিবার থেকে। নুরুল ইসলাম নাহিদ কে জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্মান করেন, কেন্দ্র ও জেলা নেতৃবৃন্দ সম্মান করেন অথচ এখানকার দু’একজন তাকে নিয়ে বিভ্রান্তমূলক কথা বলে। এসবের জবাব এই বিয়ানীবাজারের সকল স্থরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে আগামী ৭ তারিখ ভোটের মাধ্যমে দেবে।
সভা শেষে বাদ সন্ধ্যা শহরে নৌকা সমর্থনে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।