গত সপ্তাহে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর মাত্র একদিনের ব্যবধানে ঢাকা সফর করেন শমসের মবিন চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম নাহিদ। তন্মধ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। তবে শমসের মুবিন চৌধুরী কার সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা সেটি আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডের সাথেই হয়েছে। দু’প্রার্থী ঢাকা থেকে ফেরার পর ভোটের মাঠের হাওয়া পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই তলে তলে শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষে অবস্থান নেন। ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে বিষয়টি খোলাসা হয়ে যায়। ওই রাতে শমসের মুবিন চৌধুরীকে নিয়ে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের রয়েল সেন্টারে প্রকাশ্য বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। সঙ্গে গোলাপগঞ্জ উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি রুকন উদ্দিন। সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল হকের পরিচালনায় ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শমসের মুবিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। এ ছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিলর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশেদ আলম চৌধুরী রিপন, আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ হাসিন আহমদ মিন্টু, সদস্য ওজিউর রহমান ছানা, আব্দুল হান্নান, গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহেল আহমদ, পৌর কাউন্সিলর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহিন আহমদ খান, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু, শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মন্নান, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মশাহিদ আলী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিপন, গোলাপগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মঞ্জিল আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম রহমান সানি সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েক শতাধিক নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতাকর্মীরা বলেন- সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাতে উন্মুক্ত ভাবে কাজ করতে পারেন এজন্য কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও তৃণমূল বিএনপি’র সভাপতি বীরবিক্রম শমসের মুবিন চৌধুরীর পক্ষেও কাজ করার নির্দেশনা আছে। এজন্য আমরা তার পক্ষে প্রকাশ্যে নেমেছি। তার বিজয় নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব।