সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫২ তম জাতীয় দিবস ঝমকালো আয়োজনে পালন হয়েছে

লুৎফুর রহমান লুৎফুর রহমান

সম্পাদক ও সিইও, বায়ান্ন টিভি

প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩ 172 views
শেয়ার করুন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার। এ উপলক্ষে আমিরাতের সাতটি শহরকে অপরূপ সাজে সাজানো হয়েছে। ১৯৭১ সালের এদিনে ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর উত্তরে পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে সৌদি আরব এবং পূর্বে ওমান ও ওমান উপসাগর।

 

সংযুক্ত আরব আমিরাত মরুময় দেশ। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দেন। ফলে দ্রুতই এগিয়ে যায় দেশটির অবস্থান।

১৯৫০ এর দশকে পেট্রোলিয়াম আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত মূলত ব্রিটিশ সরকারের অধীন কতগুলি অনুন্নত এলাকার সমষ্টি ছিল। খনিজ তেল শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে এগুলির দ্রুত উন্নতি ও আধুনিকায়ন ঘটে। ফলে ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে আমিরাত ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে আসতে সক্ষম হয়। দেশের খনিজ তেলের বেশির ভাগ আবুধাবিতে পাওয়া যায়, ফলে এটি সাতটি আমিরাতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী। তেল শিল্পের কারণে এখানকার অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং জীবনযাত্রার মান বিশ্বের সর্বোচ্চগুলির একটি।

জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমিরাতের সব জায়গায় গাড়ি পার্কিং ফ্রি, মোবাইল ডাটা ফ্রি, আবুধাবি ১০১৮, দুবাই ১২৪৯, শারজাহ ৪৭৫, আজমান ১৪৩, ফুজাইরাহ ১১৩, রাস আল খাইমাহ ৪৪২ জনসহ মোট ৩৪৪০ জন কয়েদিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আমিরাতে রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ও গগণচুম্বী ভবন। স্বাধীনতার পর খুব কম সময়ে আমিরাত বিশ্বের অন্যতম সুন্দর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই মরুভূমির বুকে বড় বড় দালান আর অট্টালিকায় স্বপ্নের রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠে আমিরাত। বর্তমানে বিশ্বের প্রথম দশটি ধনী দেশের একটি সংযুক্ত আরব আমিরাত।

আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, ফুজাইরাহ, রাস আল খাইমাহ, উম্ম আল কোয়াইন-সহ আমিরাতের প্রধান প্রধান সড়কসহ শহরের সড়কগুলো জাতীয় পতাকার পাশাপাশি আলোকিত ফিফটি-টু লিখা শোভা বাড়াচ্ছে আজ।

মোটর র‍্যালি, বিমান মহড়া, ড্যান্সিং ঝরনা, আলোকসজ্জা, আতশবাজি, উঁচু ভবনে রং-বেরঙের সাজ আর আলোর ঝলকানি দেখা যাচ্ছে চারদিকে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, সুপারশপ ও হাইপার মার্কেট সেজেছে নানা সাজে।

এছাড়াও বড় বড় শপিং মলগুলোতে দিবসটি উপলক্ষে উৎসবের আমেজ লক্ষণীয়। এদিকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্থানীয় ও আমিরাতে অবস্থানরত সকল অভিবাসীদের অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এ বছর জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমিরাতে সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের জন্য তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।