সাভারে রাধা-কৃষ্ণ মন্দির থেকে চুরি হওয়া ১৩টি মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
ঢাকা জেলার সাভারে প্রবীণ সাংবাদিক বরুণ ভৌমিক নয়নের নিজ বাড়ির ব্যক্তিগত রাধা-কৃষ্ণ মন্দির থেকে চুরির চার দিনের মাথায় চুরি হওয়া ১৩টি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। একই সময় উদ্ধার হয়েছে চুরি হওয়া অন্যান্য জিনিসপত্র। এ ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর) আব্দুল্লাহিল কাফী। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, ৩০ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে সাভার রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন দক্ষিনপাড়া এলাকায় সাংবাদিক বরুন ভৌমিক নয়নের নিজ বাসভবনের চতুর্থ তলার পারিবারিক মন্দিরের জানালা ভেঙে মোট ১৩ টি মূর্তি ও অন্যান্য দামী জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি। ঘটনার পর সাংবাদিক বরুণ ভৌমিক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় গতকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) একটি মামলা করেন।
আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মন্দিরের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত নির্মল (২৫), আমির হোসেন ব্যাপারী (৫৫) ও শহিদ হাওলাদার (৩৫) নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা মন্দিরের মূর্তি চুরির কথা স্বীকার করেন এবং মূর্তিগুলো আসামি আমিরের দোকান ও শহিদের বাড়িতে রয়েছে বলে তথ্য দেন। পরে সেখান থেকে চোরাই মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
চুরি হওয়া মূর্তি উদ্ধারের পর সাভার মডেল থানায় উপস্থিত বরুণ ভৌমিক নয়ন বলেন, আমার প্রয়াত মায়ের স্মৃতি স্বরূপ রেখে যাওয়া এই মূর্তিগুলো মূল্য দিয়ে বিচার করা যাবে না। এটা অনুভূতির বিষয়। মূর্তিগুলো হারিয়ে আমি মানষিকভাবে ভিষণ ভেঙে পরেছিলাম। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মূর্তিগুলো উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনায় তিনি পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন, হেমায়েতপুর ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা।